চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৮৭.৫৩ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় ৩.৫৯ শতাংশ কম। তাছাড়া জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ৬৬৪ জন।

সোমবার সকালে ফল প্রকাশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ এ তথ্য প্রকাশ করেন। দুপুর ১২টার পর থেকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান এবং অনলাইনে একযোগে ফল প্রকাশ করা হয়। গত ১৫ সেপ্টেম্বর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতি ও বন্যার কারণে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর অনুষ্ঠিত হয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।  

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ২১৩টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৯২টি স্কুলের মোট পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৫০ হাজার। এর মধ্যে উপস্থিত ছিল ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৪০ জন। পাস করেছে ১ লাখ ৩০ হাজার ১৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৬৭ হাজার ১৭১ জন এবং ছাত্রী ৭৭ হাজার ৩৭৯ জন। পাসের হার ৮৭.৫৩ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ৩.৫৯ শতাংশ কম। ছাত্র পাসের হার ৮৭.৩৩ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ২.৮১ শতাংশ কম এবং ছাত্রী পাসের হার ৮৭.৬৯ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ৪.৩ শতাংশ কম। এবার জিপিএ ৫ পেয়েছে মোট ১৮ হাজার ৬৬৪ জন, যা গত বছরের তুলনায় ৫ হাজার ৮৭৩ জন বেশি। এর মধ্যে ছাত্র ৭ হাজার ৭৭৫ জন, যা গত বছরের তুলনায় ২ হাজার ৩৯৩ জন বেশি এবং ছাত্রী ১০ হাজার ৮৮৯ জন, যা গত বছরের তুলনায় ৩ হাজার ৪৮০ জন বেশি। এ বছর বিজ্ঞানে পাসের হার ৯৬.৮১ শতাংশ, মানবিকে পাসের হার ৭৮.৮২ শতাংশ এবং ব্যবসায় শিক্ষায় পাসের হার ৯১.৩০ শতাংশ। বিজ্ঞানে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ৫২৫ জন, মানবিকে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪৭৬ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৬৬৩ জন। চট্টগ্রাম মহানগরে পাসের হার ৯৪.২১ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ১.০৭ শতাংশ কম, মহনগর ছাড়া চট্টগ্রাম জেলায় পাশের হার ৮৭.৬৪ শতাংশ।   মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় পাসের হার ৮৯.১১ শতাংশ। কক্সবাজার জেলায় পাসের হার ৮৮.৪৫ শতাংশ, রাঙামাটি জেলায় পাসের হার ৮১.৬০ শতাংশ, খাগড়াছড়ি জেলায় পাসের হার ৭৫.৬৭ শতাংশ এবং বান্দরবান জেলায় পাসের হার ৭৮.৩৬ শতাংশ। জিপিএ ৫ বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও এগিয়ে আছে ছাত্রীরা। গত বছরের তুলনায় তাদের জিপিএ ৫ বেড়েছে ৩ হাজার ৪৮০টি। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পিছিয়ে পড়া পার্বত্য এলাকায়ও এবার পাসের হার গত বছরের তুলনায় কমেছে। 

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন