থামছে না চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের দালালদের দৌরাত্ম। মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের জিম্মি করে ওষুধ কিনতে বাধ্য করা, দালালদের নির্দিষ্ট ল্যাবে শারীরিক পরীক্ষা করা এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
রোগীদের টানা অভিযোগের ভিত্তিতে দালাল বিরোধী অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার অভিযানে তিন দালালকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- সোহেল রানা (২৪), ইমতিয়াজ আহমেদ (২১), মো. ইমন (২৪)। এর আগে কয়েকটি অভিযানে বেশ কয়েকজন দালালকে গ্রেফতার করা হয়।
পাঁচলাইশ থানার ওসি (তদন্ত) সাদেকুর রহমান বলেন, ‘চমেক হাসপাতালে দালালদের বিরুদ্ধে টানা অভিযান চালানো হচ্ছে। গত দুই মাসে কমপক্ষে সাতটি অভিযানে দালাল চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া সক্রিয় দালাল চক্রের অন্য সদস্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
জানা যায়, চমেক হাসপাতাল দালাল চক্রের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। হাসপাতালে আসা রোগী ও স্বজনদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়া, বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের পরীক্ষা করতে বাধ্য করা এবং নির্দিষ্ট ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনতে বাধ্য করাসহ নানা অপরাধ কার্যক্রমে জড়িত। দালালদের পছন্দের ল্যাব কিংবা ফার্মিসী থেকে ওষুধ না কিনলে রোগীদের ওপর হামলা নিত্য ঘটনা। এ নিয়ে প্রায় অভিযোগ করেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। রোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান শুরু করে পুলিশ। গত বুধবার অভিযান চালিয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরআগে ১৪ ডিসেম্বর সাহাব উদ্দিন (২৮) নামে এক দালালকে আটক করেছিল পুলিশ। ৩১ অক্টোবর আদনান শিকদার নামে আরেক দালালকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ২৫ অক্টোবর চমেক হাসপাতাল থেকে মোরশেদ আলম বাবু, মো. জিসান, মো. জুয়েল ও মো. ফরহাদ নামে চার দালালকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুর উল্লাহ আশেক বলেন, এর আগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেশ কিছুদিন নীরব থাকলেও দালাল চক্র আবার সক্রিয় হতে শুরু করেছে। হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার সকালে সন্দেহজনক ঘোরাঘুরি করার সময় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারাও রোগীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করতো। গ্রেফতার করার পর তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম