বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক কবি আবদুল হাই শিকদার বলেছেন, ভারত কোনোভাবেই আমাদের ৫ আগস্টের আন্দোলন মানতে পারছে না। শেখ হাসিনাকে পৃথিবীর কোনো রাষ্ট্র জায়গা দেয়নি, এক ফ্যাসিস্ট আরেক ফ্যাসিস্টকে জায়গা দিয়েছে। ভারতের কাছে আমাদের সবচেয়ে বড় পরাজয় হলো কালচারাল পরাজয়। ৭ নভেম্বর কখনো ভোলা যায় না, ইতিহাস হতে মুছে ফেলা যায় না। ৭ নভেম্বরের সঙ্গে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। চেতনার দিক থেকে মিল রয়েছে। দুইটি দিনই ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, ভারতের আগ্রাসন থেকে মুক্ত হয়েছে।
শনিবার বিকালে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ গাজীপুর জেলা শাখা কর্তৃক ‘৭ নভেম্বর দেশপ্রেমের সকল চেতনার উৎস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল হাই শিকদার বলেন, ৭ নভেম্বরের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ছিল অসম্পূর্ণ স্বাধীনতাকে পূর্ণতা দেওয়া, ভারতীয় আধিপত্যবাদকে প্রতিরোধ করে একটি স্বনির্ভর, আধুনিক, সমৃদ্ধ, শক্তিশালী, সুখী, আত্মমর্যাদা সম্পন্ন বাংলাদেশ গড়ে তোলা। শেখ মুজিবের শাসনামলে ২৭ হাজার লোককে শুধুমাত্র রাজনৈতিক ভিন্নমত অবলম্বনের কারণে হত্যা করা হয়েছিল। যার একটারও বিচার হয়নি। ১৯৭৪ সালে দুর্ভিক্ষে ১৫ লাখ লোক না খেয়ে মারা গেছে আওয়ামী লুণ্ঠনকারীদের জন্য।
সংগঠনের জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মাজহারুল আলম, বিশেষ বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহকারী মহাসচিব বাছির জামাল।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. আবু আশরাফ খান, জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (জেটেব) সদস্য সচিব এ বি এম রুহুল আমীন আকন্দ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এস এম মাসুদ রানা আতাউর, এগ্রিকালচারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব) সভাপতি কৃষিবিদ হাবিবুর রহমান মুকুল, গাজীপুর ‘ল’ কলেজের অধ্যক্ষ মো. সহিদুজ্জামান, বিএনপি নেতা আহমদ আলী রুশদী, ড. সিরাজুল হক মোল্লা, আশরাফ হোসেন টুলু, সাখাওয়াত হোসেন সবুজ, সাখাওয়াৎ হোসেন সেলিম, ভিপি জয়নাল আবেদীন তালুকদার, সৈয়দ হাসান সোহেল, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসি প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই