সোমবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

সীমান্ত হত্যা বাংলাদেশের জন্য দুঃখজনক লজ্জাজনক ভারতের : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক নিয়মভিত্তিক ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল চাই

নিজস্ব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, সীমান্ত হত্যা বাংলাদেশের জন্য দুঃখজনক এবং ভারতের জন্য লজ্জাজনক। বাংলাদেশ ও ভারত বিভিন্ন সময়ে একমত হয়েছে যে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কোনো হত্যাকান্ড ঘটবে না, কিন্তু তা সত্ত্বেও অব্যাহত আছে। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। ঢাকায় শুরু হতে যাওয়া ইন্ডিয়ান ওশেন রিম অ্যাসোসিয়েশন (আইওআরএ) মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক নিয়ে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বলবে যে, আমরা মুক্ত, উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম-ভিত্তিক ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল চাই। আমরা কোনো দেশ বা দলের একতরফা আধিপত্য চাই না।

ইন্ডিয়ান ওশেন রিম অ্যাসোসিয়েশনের এই বৈঠকে বিভিন্ন দেশের ১২ জন মন্ত্রী এবং ২৩টি দেশের প্রতিনিধিরা যোগ দেবেন। অনুষ্ঠানের প্রথম দুই দিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পর্যায়ের হবে এবং তৃতীয় দিন মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হবে। বৈঠকে ভারত মহাসাগরের সম্পদ সর্বোত্তমভাবে ব্যবহারের উপায় নিয়ে আলোচনা করা হবে, যা মূলত অব্যবহৃত আছে। বাংলাদেশ আইওআরএর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেবে। সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ ২০২১-২০২৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে। এ সময় শ্রীলঙ্কা সহ-সভাপতি ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সাবেক সভাপতির দায়িত্ব নেবে। ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত আইওআরএর সদস্য রাষ্ট্রগুলো হলো- অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ইউনিয়ন অব কমোরোস, ফ্রেঞ্চ রিপাবলিক, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কেনিয়া, মাদাগাস্কার, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মরিশাস, মোজাম্বিক, ওমান, সেশেলস, সিঙ্গাপুর, সোমালিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, তানজানিয়া, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা বিষয়টি আমরা সব জায়গায় সুযোগ পেলে তুলে ধরি। সব দেশ আমাদের সঙ্গে একমত যে, রোহিঙ্গাদের সুন্দর ভবিষ্যতের একমাত্র উপায় হচ্ছে স্বদেশে ফেরত যাওয়া। কিন্তু সবাই সমবেদনা প্রকাশ করলেও সমাধান দিতে পারে না। কারণ ওই সমস্যা মিয়ানমারের তৈরি এবং এর সমাধানও মিয়ানমারের হাতে। তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। আমরা আশাবাদী, কারণ আগেও রোহিঙ্গারা এসেছিল এবং ফেরত গেছে। আশা করি, ভবিষ্যতেও ফেরত যাবে। আলোচনার পথ উন্মুক্ত রেখেছি। কখনো ইতিবাচক ঘটনা ঘটে। মেরিন অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল খুরশেদ আলম বলেন, সব যোগ্যতা থাকলেও রোহিঙ্গাদের সঙ্গে দায়িত্বশীল আচরণ না করায় মিয়ানমারকে আইওআরএ-এর সদস্যপদ দেওয়া হয়নি।

মিয়ানমার আবেদন করেছিল। দেশটি যাবতীয় শর্তও পূরণ করেছে। কিন্তু ওদের আবেদনের বিরোধিতা করে দক্ষিণ আফ্রিকা বলেছে, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমার ব্যর্থ। দক্ষিণ আফ্রিকা যে বিষয়টি তুলে ধরেছিল, সেটা হচ্ছে একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্রের আচরণ করেনি মিয়ানমার। কাজেই মিয়ানমারকে সদস্যপদ দেওয়া যাবে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর