শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

কেসিসির তালায় বিব্রত জেলা পরিষদ

জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব, চিঠি চালাচালি

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনার প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলা মোড়ে জমির মালিকানা নিয়ে সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে ওই জমিতে নির্মাণাধীন স্থাপনায় তালা দিয়েছে কেসিসি। এতে জেলা পরিষদের কর্মকর্তারা বিব্রতবোধ করছেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চিঠি চালাচালি চলছে।

জানা যায়, ডাকবাংলা মোড়ের সদর মার্কেটের অভ্যন্তরে ফাঁকা অংশে এক মাস ধরে বঙ্গবন্ধু কর্নার ও দোকান নির্মাণ করছে জেলা পরিষদ। কিন্তু ২০ নভেম্বর মার্কেটের ওই স্থানের প্রবেশপথে তালা ঝুলিয়ে দেয় সিটি করপোরেশন। কেসিসির ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সামছুজ্জামান মিয়া স্বপন বলেন, ডাকবাংলা সদর মার্কেটের অভ্যন্তরে ১৮ শতাংশ জমির মালিক সিটি করপোরেশন। পাশে বঙ্গবন্ধু কর্নার নির্মাণ করা হয়েছে- তা নিয়ে আপত্তি নেই। কিন্তু কেসিসির সঙ্গে আলোচনা না করে সেখানে দোকান নির্মাণ কাজ শুরু করলে তা বন্ধ রাখতে বলা হয়। গত ২২ নভেম্বর কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম খুলনা জেলা পরিষদকে দেওয়া চিঠিতে বলেন, ‘কেসিসির মালিকানাধীন ১৮ শতাংশ জমিতে নির্মাণ কাজ বন্ধসহ নির্মাণাধীন নতুন স্থাপনা অপসারণ না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তবে জেলা পরিষদের কর্মকর্তারা বলছেন, ডাকবাংলা সদর মার্কেটের ১৮ শতাংশ জমি কেসিসি নিজেদের দাবি করলেও ওই জমির মালিক রেকর্ড অনুযায়ী জেলা পরিষদ। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই না করেই নিজেদের সম্পত্তি দাবি করা ও মার্কেটের প্রবেশপথে তালা দেওয়ার ঘটনা দুঃখজনক।

গত ২৩ নভেম্বর কেসিসিকে দেওয়া চিঠিতে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) মো. আছাদুজ্জামান জানান, সরকারি রেকর্ডে ডাকবাংলা মোড়ে ওই স্থানে খুলনা জেলা পরিষদের মালিকানায় ৫০.৪০ শতাংশ জমি রয়েছে। সিএস, এসএ এবং আরএস খতিয়ানের মাধ্যমে ওই জমির রেকর্ডীয় মালিক জেলা পরিষদ। ওই জমিতে সিটি করপোরেশনের মালিকানা স্বত্ব নেই। উপরন্তু ওই জমিতে সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত হোল্ডিং ট্যাক্স জেলা পরিষদ নিয়মিত পরিশোধ করে আসছে।

তিনি বলেন, পাওয়ার হাউস মোড়ের অন্য একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণের জন্য সেখানকার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য ডাকবাংলা মার্কেটের খালি জমিতে অস্থায়ী ইজারা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু কাগজপত্র যাচাই ছাড়াই নির্মাণ কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে।

জানা যায়, সিএস খতিয়ানে ২৬৯৮ দাগের বাটা দাগ নং ২৬৯৮/২৭১৫ এ ০.১৮ শতক জমি মিউনিসিপ্যালিটির নামে দেখানো হয়। যা সিএস রেকর্ড সংশোধিত আকারে এসএ রেকর্ডে খুলনা জেলা পরিষদের মালিকানায় রেকর্ড হয়েছে। পরে বিআরএস খতিয়ানে ৫০.৪০ শতাংশ সম্পূর্ণ জমি জেলা পরিষদের একক নামে রেকর্ড হয়ে প্রিন্ট পর্চা ও চূড়ান্ত গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর