রবিবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
শোডাউনে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি বাড়ানোর চেষ্টা

সিলেটে কর্মী চাঙা রাখতে ব্যস্ত বিএনপি

কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় ইস্যুতে কর্মসূচি পালন

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সিলেটে কর্মী চাঙা রাখতে ব্যস্ত বিএনপি

সাংগঠনিক অবস্থা জোরদার, দলকে ঢেলে সাজানো, নেতা-কর্মীদের মধ্যে ঐক্য স্থাপন ও রাজপথে নেতা-কর্মীদের সক্রিয় রাখতে ব্যস্ত সময় পার করছে সিলেট জেলা বিএনপি। দীর্ঘদিন ধরে ঝিমিয়ে পড়া নেতা-কর্মীদের রাজপথে চাঙা করতে নানা কর্মসূচি পালন করছে দলটি। কেন্দ্রের পাশাপাশি স্থানীয় নানা ইস্যু নিয়েও প্রায় প্রতি সপ্তাহেই কর্মসূচি পালন করছে জেলা বিএনপি। রাজপথে শোডাউনের মাধ্যমে নিজেদের শক্তিশালী অবস্থানেরও জানান দিচ্ছেন তারা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় ও আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে রাজপথে আরও সক্রিয় থাকার কথা জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী। 

দলীয় সূত্র জানায়, গত ১৯ নভেম্বর সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ওই সমাবেশ সফলে প্রায় এক মাস জেলা বিএনপি নেতারা পুরো জেলা ঘুরে বেড়ান। এর ফলশ্রুতিতে সমাবেশে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীর উপস্থিতি ঘটে। গণসমাবেশ ঘিরে জেলার নেতা-কর্মীরাও চাঙা হয়ে ওঠেন। এরপর থেকে নেতা-কর্মীদের রাজপথে সক্রিয় রাখতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে জেলা বিএনপি।

সূত্র আরও জানায়, ১১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেটে গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা বিএনপি। গণ-অবস্থানস্থল হিসেবে বিএনপি নেতা-কর্মীরা তাদের প্রথম পছন্দ হিসেবে রেখেছেন সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ। আর দ্বিতীয় পছন্দে রয়েছে রেজিস্ট্রারি মাঠ। তবে কর্মসূচিস্থল যেটাই হোক না কেন, গণ-অবস্থানে কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চান বিএনপি নেতারা। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে চলছে প্রস্তুতি। ইতোমধ্যে জেলা ও মহানগর বিএনপি কয়েক দফা বৈঠকও করেছে। গত বৃহস্পতিবার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গেও যৌথ বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা। এর বাইরে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দলসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো পৃথকভাবে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে গণ-অবস্থান কর্মসূচির বিষয়ে আলোচনা করেছে।

এদিকে, সিলেট বিভাগীয় গণ-অবস্থান কর্মসূচি সফলের জন্য দলনেতার দায়িত্ব পেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। এ ছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন সমন্বয়কারী ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন সমন্বয় সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন।

এদিকে, বিএনপির চলমান ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার’ আন্দোলনের ১০ দফা কর্মসূচি ও ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে’ ঘোষিত ২৭ দফা নিয়ে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে গতকাল বিশ্লেষণধর্মী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরীর কুমারপাড়াস্থ একটি রেস্টুরেন্টের হলরুমে ওই সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

এদিকে গত ৬ নভেম্বর ছাত্রলীগ ক্যাডার আজিজুর রহমান সম্রাটের নেতৃত্বে হামলায় নিহত হন জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামাল। কামাল খুনের প্রতিবাদে গত ১ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বিএনপি। আজ রবিবার একই দাবিতে শহীদ মিনারে মানববন্ধনের ডাক দেওয়া হয়েছে।

আন্দোলন কর্মসূচি প্রসঙ্গে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছে না। মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য নানা কর্মসূচি পালন করছে। এ জন্য বিএনপির কর্মসূচিতে দলীয় নেতা-কর্মী ছাড়াও গণমানুষের অংশগ্রহণ বাড়ছে। দলের প্রতিটি নেতা-কর্মী এখন খুবই উজ্জীবিত। তাদের রাজপথে সক্রিয় রাখার চেষ্টা চলছে। তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রতিটি কর্মসূচি সফল করে তুলছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর