কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হককে গলা কেটে হত্যায় মামলা করেছেন তার বাবা আবদুল ওয়াদুদ। গতকাল কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় এই মামলা করা হয়। এতে ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ছয়জনকে আসামি করা হয়। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহম্মদ সনজুর মোর্শেদ। এদিকে গতকাল আলেখারচরে জানাজা শেষে লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। মামলার এজাহার নামীয় আসামিরা হলেন- স্থানীয় আবদুল খালেকের ছেলে কাজী জহিরুল ইসলাম (৪০), কাজী আমিনুল ইসলামের ছেলে কাজী আমান উল্লাহ (২৭), জাকির হোসেনের ছেলে আবু সাঈদ (২৩), মৃত কাজী আবদুল খালেকের ছেলে এনামুল হক (৩৮) ও নাজমুল হক (৪২), আবদুল মালেক সরদারের ছেলে আতিকুর রহমান পাভেল (৪৫), মৃত আবদুল মুত্তালিবের ছেলে কাজী নিজাম উদ্দিন (৫৫), জয়নাল আবেদীনের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩৫), কেরামত আলীর ছেলে এয়ার আহমদ (৪৮) ও তুয়াচিন মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন (৪৫)। অপরদিকে দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ৭ নম্বর আসামি মৃত কাজী মুত্তালিবের ছেলে কাজী নিজাম উদ্দিন (৫২) ও ১০ নম্বর আসামি মৃত তুয়াচিন মিয়ার ছেলে মো. জাকির হোসেন (৪৫)।
জানা গেছে, নিহত এনামুল হক দুর্গাপূর ইউনিয়নের আলেখারচর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। শুক্রবার দুপুরে দুর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের আলেখারচরে জুমার নামাজ শেষে এনামুল বের হলে প্রতিপক্ষের জহির ও তার লোকজন এনামুলকে টেনেহিঁচড়ে মসজিদের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে দেয়ালের সঙ্গে চেপে ধরে তার গলায় ও ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয় মুসল্লিরা তাকে প্রথমে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে ও পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। বিকাল ৩টার দিকে হাসপাতালে এনামুল মারা যান। এনামুলের সঙ্গে তাদের জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।