রাজধানীতে সিটি করপোরেশন, ঢাকা ওয়াসা, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), বিদ্যুৎ, গ্যাস, টেলিফোন, ইন্টারনেটসহ ২৬টি সোবাদাতা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। রাজউক একটি ভবন নির্মাণে অনুমতির পর বিদ্যুৎ, গ্যাস, সিটি করপোরেশন, ঢাকা ওয়াসাসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম থাকে। অথচ কোনো সংস্থাই ভবনের নকশা যাচাই করে না। ভবন মালিক চাওয়া মাত্রই সব সেবা দিয়ে দেয়। সেখানেই ঘটে বিপত্তি! নকশায় নেই অথচ হোটেল রেস্টুরেন্ট হয়ে যায়। ঘটে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। নগর সেবা সংস্থাগুলোকে এক ছাতার নিচে আনা গেলে এসব দুর্ঘটনা থেকে মুক্তি অনেকটাই সম্ভব।
গতকাল হোটেল সোনারগাঁওয়ে রাজউক ও জাইকার যৌথ আয়োজনে ‘ভবন সংক্রান্ত দুর্যোগের (ভূমিকম্প ও অগ্নি) ঝুঁকি প্রশমনে জনসচেতনতা বৃদ্ধি’ বিষয়ে সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজউক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম। আরও বক্তব্য দেন জাইকার প্রতিনিধি কবুতা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. রাকিব আহসান। আদিলুর রহমান খান বলেন, প্রতিটি ভবন হতে হবে নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব এবং দুর্যোগসহনশীল। রাজউককে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ভবনের নির্মাণ পর্যায়ে তদারকি ও গুণগত মান যাচাইয়ের জন্য দক্ষ ও আধুনিক পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
এজন্য ভবনের মালিক, প্রকৌশলী, স্থাপতি ও ঠিকাদার সবার সচেতন হতে হবে।
মো. নজরুল ইসলাম বলেন, স্টেকহোল্ডররা আইন না মানলে, কঠিন আইন করলেও নিরাপদ নগর নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। আমাদের সমাজে আইন না মানার সংস্কৃতি রয়েছে। প্রভাবশালীদের মধ্যে এ প্রবণতার হার বেশি। এর ফলে অনেক ক্ষেত্রেই রাজউকের কর্মকর্তারা অসহায়।
রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, নকশাবহির্ভূত ভবনে রাজউকের অভিযান চলমান আছে। এসব অভিযানকে সাধারণ জনগণ স্বাগত জানাচ্ছে। তিনি বলেন, ঢাকাকে এক আমব্রেলার নিচে না আনলে যত পরিকল্পনাই করা হোক না কেন কাজে আসবে না। সব কাজের সিদ্ধান্ত একটি জায়গা থেকে আসতে হবে। সেখানে নগর সরকার হোক কিংবা এক মেয়রের কাছে ক্ষমতা থাকুক সেটায় সমস্যা নেই। নগরের পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, সেবাসহ সব সেবার বিষয়ে একটি জায়গা থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।