চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) হোল্ডিং ট্যাক্স (গৃহকর ও অন্যান্য রেইট) নির্ধারণে একটি প্রতিষ্ঠানের ২০ কোটি টাকার রাজস্ব জালিয়াতির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। ঘষামাজার মাধ্যমে ২৬ কোটি টাকার কর হয়ে গেল ৬ কোটি! এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত প্রতিবেদন গত সোমবার রাতে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের কাছে জমা দেওয়া হয়। এর আগে জালিয়াতির ঘটনাটি তদন্তে চসিকের আইন কর্মকর্তাকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। চসিক সূত্রে জানা যায়, চসিকের ৮ নম্বর রাজস্ব সার্কেলের আওতাধীন দক্ষিণ-মধ্যম হালিশহর এলাকার ইছহাক ব্রাদার্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের হোল্ডিংয়ের বিপরীতে ২৬ কোটি ৩৮ লাখ ১৯ হাজার ২৫০ টাকা পৌরকর নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু আপিল রিভিউ বোর্ডে উপস্থাপনের সময় ওই পৌরকরের ‘ফিল্ড বুক’ থেকে ‘২’ মুছে দেওয়া হয়। ঘষামাজা ও সাদা ফ্লুইড ব্যবহার করে ২০ কোটি টাকা কমিয়ে উপস্থাপন করা হয় ৬ কোটি ৩৮ লাখ ১৯ হাজার ২৫০ টাকা। এ জালিয়াতির সঙ্গে চসিকের কর কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম এবং উপকর কর্মকর্তা জয় প্রকাশ সেন সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি। নথিগুলো যাচাই করে তদন্ত কমিটি দেখতে পায়, ফিল্ডবুকের ঘষামাজা করা তথ্য রিভিউ বোর্ডে উপস্থাপন করা হয়। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই কর নির্ধারণ করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে কর কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আলম এবং উপকর কর্মকর্তা জয় প্রকাশ সেন সরাসরি দায়ী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ঘটনাটি ভয়াবহ। অতীতে এমন ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমি এ ঘটনা শোনার পরই তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য ও ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই এ অনিয়মের সঙ্গে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে, সবার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।