বরিশালে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য একটি ভাসমান আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। করোনা চিকিৎসা প্রস্তুতির আগাম সতর্কতার অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনা এবং বিআইডব্লিউটিএ’র সহযোগীতায় গত শুক্রবার বিকেলে বরিশাল-ঢাকা রুটের একটি বিলাসবহুল যাত্রীবাহী জাহাজ ভাসমান আইসোলেশন ইউনিট হিসেবে প্রস্তুত করা হয়। ভাসমান আইসোলেশন ইউনিটের ব্যানার সাটিয়ে যাত্রীবাহী জাহাজটিকে বরিশাল নদী বন্দরে নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে।
বরিশালের সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেন জানান, ঢাকা-বরিশাল নৌপথের এমভি সুরভী-৮ লঞ্চটিকে ভাসমান আইসোলেশন ইউনিট হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজন হলে যাতে ব্যবহার করা যায় সে জন্য লঞ্চটিকে আগাম ভাসমান আইসোলেশন ইউনিট হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মোট ৮৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগীকে ভাসমান ইউনিটে আইসোলেট করা যাবে।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন) আজমল হুদা মিঠু সরকার জানান, জেলা প্রশাসনের চাহিদার প্রেক্ষিতে নদী বন্দরে একটি যাত্রীবাহী জাহাজ ভাসমান আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এই লঞ্চে ৮৬টি কেবিনে ৮৬জন রোগীকে আইসোলেট করা যাবে। সিভিল সার্জন চাইলেই লঞ্চটির দায়িত্ব তাদের হাতে বুঝিয়ে দেয়া হবে। প্রয়োজন হলে আরও জাহাজ ভাসমান আইসোলেশন ইউনিট হিসেবে ব্যবহার করার প্রস্তুতি বিআইডব্লিউটিএ’র রয়েছে বলে তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ