চট্টগ্রামে মারা যাওয়া নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চর হাজারী ইউনিয়নের মানসিক প্রতিবন্ধী মৃত মমতাজ বেগম (৩১) শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তার বাবা ও ভাইয়ের নমুনা সংগ্রহের জন্য বাংলাদেশ ইনষ্টিটিউট অব ট্রফিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, মৃত মমতাজ বেগম চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী থেকে চট্রগ্রামে যান। সেখানে গত ১৩ এপ্রিল দুপুরে হঠাৎ করোনার কোনো উপসর্গ ছাড়াই তার মৃত্যু হয়। পরে চট্টগ্রাম থেকে লাশ বাড়িতে এনে গোপনে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। তার শরীরে করোনার কোন উপসর্গ না থাকার পরও নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হওয়ায় এলাকার লোকজনের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ জানান, মৃত নারীর করোনা শনাক্ত এর বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে বাড়িটি লকডাউন ঘোষণা করে বাবা সাহাব উদ্দিন ও ভাই মো. মহসিনকে কোয়ারেন্টাইনে রেখে প্রশাসনের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এছাড়া, দাফনের সাথে যারা সংশ্লিষ্ট ছিল, তাদের নাম সংগ্রহ করে তাদেরও নমুনা বিআইটিআইডি পাঠানো হবে।
এদিকে গতকাল রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা এক যুবকের শরীরের করোনা পজিটিভ এসেছে। আক্রান্ত ওই যুবক নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার বাটাইয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মোমিনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস বলেন, গত ১৪ এপ্রিল মঙ্গলবার সর্দি, জ্বর নিয়ে কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। পরে করোনা উপসর্গ থাকায় তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ ইনস্ট্রিটিউট অব ট্রফিক্যাল এন্ড এনফেকসাস ডিজিস (বিআইটিআইডি) চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। শুক্রবার রাতে নমুনা রিপোর্টে তার করোনা পজেটিভ আসে। বর্তমানে ওই রোগীর পরিবারের সদস্যরা হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে।
তিনি আরও জানান, শনিবার সকালে ওই রোগীর বাড়ি লকডাউন করা হবে। তাকে ২০শয্যা বিশিষ্ট চরআলগী হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেসনে নেওয়া হবে। নমুনা সংগ্রহ করা হবে তার পরিবারের সকল সদস্যদের।
উল্লেখ্য, এ নিয়ে নোয়াখালী জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩ জন মৃত্যুবরণ করে এবং করোনায় সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত ইতালি প্রবাসী মোরশেদ আলমের স্ত্রীসহ ৫ জনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেল।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ