লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া যুবকের মরদেহের নমুনা পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়েনি। তবে সংস্পর্শে আসা তার তিন ভাই-বোনসহ জেলায় সোমবার পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানায় স্বাস্থ্য বিভাগ।
এদিকে দুপুরে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তারা উপজেলার চর রমিজ ইউনিয়নের চর আফজাল গ্রামে করোনা উপসর্গে মারা যাওয়া ওই যুবকের বাড়িতে যান। এ সময় চিকিৎসকরা আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা পরিবারের সদস্যসহ আরও ১০ জনের নমুনা সংগ্রহ করেন। ফের লকডাউন করা হয় তাদের বাড়ি।
এর আগে গত রবিবার লক্ষ্মীপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে বিআইটিআইডির পরীক্ষার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জানানো হয়েছে মারা যাওয়া যুবকের শরীরে করোনা নেগেটিভ। তার দুই ভাই ও এক বোনের পজেটিভ রিপোর্ট আসে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কামনা শীষ।
এর আগে গত ১৯ এপ্রিল রাতে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ২০ বছর বয়সী যুবকের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে স্বাস্থ্যবিভাগ মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। একই সময় ভাই-বোনসহ পরিবারের আরও ১০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এ সময় ওই বাড়িসহ তিন বাড়ি লকডাউন করা হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর আট দিন পর নমুনা সংগ্রহের রির্পোট আসে। লকডাউনের চারদিন পর থেকে ওই পরিবার ও আশপাশের পরিবারের সদস্যরা লকডাউন ও কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশনা ভঙ্গ করে এলাকায় স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করেছেন। এ কারণে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে মনে করছেন তারা।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আব্দুল গফফার জানান, এ পর্যন্ত জেলার পাঁচ উপজেলায় ৯৮৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল এসেছে ৫৮৪ জনের। এর মধ্যে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে ৩৩ জনের। তাদের মধ্যে রামগঞ্জের ১৬ জন, লক্ষ্মীপুর সদরের ১০ জন, কমলনগরের ৩ জন ও রামগতির ৪ জন রোগী রয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন