৯ জুলাই, ২০২০ ১২:৩১

করোনা প্রতিরোধে বেইজিংয়ের সাফল্যের রহস্য

অনলাইন ডেস্ক

করোনা প্রতিরোধে বেইজিংয়ের সাফল্যের রহস্য

গেল জুন মাসের শুরুতে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে নতুন করে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লেও গেল মঙ্গলবার থেকে নতুন করে কারো দেহে করোনা শনাক্ত হয়নি। গেল ১১ জুন সুরনাম তাং নামের ৫২ বছর বয়সী এক ব্যক্তির শরীরে নতুন করে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। পরে সেখানে ৫৬ জনের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। 

এ ঘটনায় সেখানকার একটি পাইকারি মার্কেট লকডাউন করে দেয় কর্তৃপক্ষ। ৩০ শে মে’র পর ওই মার্কেটে যারা চলাফেরা করেছে কিংবা মার্কেটে যাওয়া ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসেছে তাদের সবার করোনা টেস্ট করা হয়। দুইদিন পর আরও এক ব্যক্তির দেহে করোনা শনাক্ত হলে তার সংস্পর্শে আসা সবার করোনা টেস্ট করা হয়।

গেল সোমবার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বেইজিংয়ের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ বিভাগের উপ-পরিচালক বলেন, জুন মাস থেকে এখন পর্যন্ত রাজধানীজুড়ে ১ কোটি ১০ লাখ মানুষের করোনা টেস্ট করা হয়েছে।

গত ২৮ জুন বেইজিংয়ের করোনা টেস্ট বিষয়ক বিশেষ টাস্ক ফোর্সের উপ-প্রধান ঝাং কিয়াং বলেন, বর্তমানে শহরটিতে প্রতিদিন গড়ে ১০ লাখের বেশি মানুষের কোভিড-১৯ টেস্ট করা হয়। ভাইরাস প্রতিরোধে দ্রুত ও ব্যাপক আকারে করোনা টেস্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন তিনি। নতুন করে করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর গেল ২৬ দিন চীনের রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী ব্যাপক আকারে কোভিড-১৯ পরীক্ষা, আক্রান্তদের চিকিৎসা এবং যথাযথ কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

গেল জুন মাসে এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের গবেষক লি জিনমিং বলেন, বেইজিং সব সময় করোনা টেস্টের পরিধি বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছে। ঐ পাইকারি মার্কেটে যারা যাতায়াত করেছেন। সেখানকার বাসিন্দা এমনকি ওই এলাকার ১১টি কমিউনিটির মধ্যেও দ্রুত সময়ে করোনা টেস্ট করা হয়। এছাড়া, সামাজিক সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বেইজিং কর্তৃপক্ষ চারটি ধাপে এই ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রথমে জরুরি ভিত্তিতে ওই মার্কেটে আসা লোকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এরপর তাদের দ্রুত করোনা টেস্টের আওতায় আনা হয়েছে।

চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের মেডিকেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ব্যুরো'র মহাপরিচালক গুও ইয়ানহোং বলেছেন, যারা করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছেন বা যারা ওই সময়ে কোনও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন তাদের শনাক্তের ওপর জোর দেয়া হয়েছিল।

নতুন করে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর করোনা টেস্টের সক্ষমতা ৯০ শতাংশ বাড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে যারা করোনা চিকিৎসায় নিয়জিত তারা যেন অন্য শহরে যেতে না পারে সে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছে চীন। এছাড়া, করোনা আক্রান্ত হওয়ার কম ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদেরও টেস্টের আওতায় আনা হয়েছে।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

সর্বশেষ খবর