বসুন্ধরা শুভসংঘের বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলা শাখার আয়োজনে যক্ষ্মা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুর ২টায় আমতলী মফিজ উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভা কক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
বসুন্ধরা শুভসংঘ আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি সাইফুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে সভার উদ্বোধন করেন আমতলী মফিজ উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম এ হান্নান।
বসুন্ধরা শুভসংঘ আয়োজিত এ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখান, বসুন্ধরা শুভসংঘ আমতলী উপজেলা শাখার উপদেষ্টা আল আমিন বাবু, আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট নিখিল চন্দ্র শীল, বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ইমতাজুর রহমান, গাজি মো: ইউসুফ, আমিনুল ইসলাম মিঠু, সোহাগ মিয়া, শিক্ষিকা শাহিদা ইয়াসমিন, আসমা বেগম।
সভায় বসুন্ধরা শুভসংঘ আমতলী উপজেলা শাখার অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি জোসেফ মাহতাব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জয়নুল আবেদীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তা রানি, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক গাজী নাসির, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক, টি.এম রেদওয়ান বায়েজিদ, কার্যকরী সদস্য কামরুল হাসান সাইমুন, এইচ. এম. রাসেল, ফখরুদ্দীন তইসিন, রিপন মুন্সি, মোঃ ইমরান হোসাইন, কামরুজ্জামান জয়, মোঃ আবু বকর নকীব, মোঃ তাওহিদুল ইসলাম।
এসময় বক্তারা যক্ষ্মা রোগকে ঘিরে প্রচলিত ভুল ধারণা সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠান শেষে যক্ষ্মা বিষয়ক লিফলেট বিতরণ, সচেতনতামূলক পোস্টার প্রদর্শন এবং ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা বলেন, যক্ষ্মা (টিবি) একটি মারাত্মক রোগ যা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা ছড়ায় এবং এটি প্রতিরোধ ও নিরাময় করা যায়। আমরা একটু সচেতন হলেই এ রোগ প্রতিরোধ করতে পারি। তা হলো বিসিজি টিকা গ্রহণ করা, হাঁচি-কাশির আদবকেতা মেনে চলা, যেখানে সেখানে কফ-থুতু না ফেলা, এবং রোগ শনাক্ত হলে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা।
এছাড়া জন্মের পরপরই যক্ষ্মার টিকা (বিসিজি) গ্রহণ করা উচিত। এটি রোগের জটিলতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। হাঁচি বা কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখা এবং যেখানে সেখানে কফ-থুতু না ফেলা, অন্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানো কমাতে সহায়ক। যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ দেখা গেলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া এবং সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করা জরুরি। যক্ষ্মা একটি নিরাময়যোগ্য রোগ, কিন্তু সময়মতো চিকিৎসা না করালে এটি মারাত্মক হতে পারে।
সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল-স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, পর্যাপ্ত বিশ্রাম, এবং ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করা রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। আমরা সবাই সচেতন হলে প্রতিরোধ সম্ভব।
যক্ষ্মা রোগের ওষুধ সেবন শুরু করলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পুরো কোর্স শেষ করতে হবে। মাঝপথে ওষুধ বন্ধ করলে তা ব্যাকটেরিয়ার ওষুধ প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি করতে পারে।
যক্ষ্মা প্রতিরোধে সচেতনতা ও সঠিক পদক্ষেপের মাধ্যমে এই রোগটিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।