বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

ভাঙা সেতুতে হাজারো মানুষের দুর্ভোগ

নাটোর প্রতিনিধি

ভাঙা সেতুতে হাজারো মানুষের দুর্ভোগ

নাটোরের সিংড়া উপজেলার বকতারপুর এলাকায় পানাউল্লাহ খালের ওপর ভাঙা সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন দুই পাড়ের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এলাকাবাসী জানান, ভাঙা সেতুটির কারণে বেশি দুর্ভোগের শিকার হন শিক্ষার্থী, কৃষক এবং রোগীরা। সেতুটি আংশিক ভাঙা ছিল প্রায় পাঁচ বছর। ২০১৮ সালে বন্যায় বড় অংশ ধসে পড়ে। বন্যার পর ধসে পড়া স্থানে বাঁশের সাঁকো তৈরি করেছিল স্থানীয় প্রশাসন। কিছুদিন পর সাঁকোটিও ভেঙে পড়ে। জানা যায়, সিংড়া উপজেলার গোবিন্দনগর ডাকমন্ডপ, বারইহাটি, হামিরঘোষ, সোনাইডাঙ্গা, নাটোরের গোপালঘাট, খয়েরেগ্রাম, নলডাঙ্গার পাটুল, নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার বিশা ও সোমসপাড়া গ্রামের হাজার হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়েই সেতুটি দিয়ে মালামাল, খাদ্যসামগ্রী ও কৃষিপণ্য পারাপার করেন। অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, রিকশা ও ভ্যানসহ তিন শতাধিক যান প্রতিদিন সেতুটি দিয়ে চলাচল করে। সেতুসংলগ্ন তেলিগ্রাম গ্রামের নুরজাহান বেগম বলেন, ‘জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতুটি ব্যবহার করা ছাড়া আমাদের কোনও বিকল্পও নেই।’

পাটুল হাপানিয়া ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আক্তার উজ জামান বলেন, ‘সেতুটির জন্য হাজার হাজার মানুষ বছরের পর বছর দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নতুন সেতু করার উদ্যোগ নিচ্ছে না। স্থানীয় লালোর ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, সেতুর দুই পাশে ডাকমন্ডপ প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডাকমন্ডপ উচ্চ বিদ্যালয়, বারইহাটি মাদ্রাসা, বারইহাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোপিন্দনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ডাঙ্গাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বেশি ভোগান্তি পোহাচ্ছে। সিংড়া উপজেলা প্রকৌশলী হাসান আলী জানান, সেতুটি নির্মাণের জন্য তিনি প্রায় আড়াই কোটি টাকার প্রস্তাবনা তৈরি করেছেন। এটি অনুমোদন হতে এক বছরের মতো সময় লাগবে। এ কারণে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্রুত সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। চলতি বছরই সেতুটি নির্মাণ স¤পন্ন হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সর্বশেষ খবর