বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনায় ইলিশের দেখা নেই

নেয়ামত হোসেন, চাঁদপুর

চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনায় ইলিশের দেখা নেই

নদীতে ইলিশের খোঁজে জেলেরা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ভরা মৌসুমেও চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ইলিশের দেখা মিলছে না। রাত-দিন নদীতে জাল ফেলেও মাছ না পেয়ে জেলেরা হতাশ। জাল ফেলে তারা যেটুকু পরিমাণ মাছ পাচ্ছে। তাতে লাভ দূরে থাক তাদের নৌকার খরচই উঠে আসছে না। এতে করে জেলার অর্ধ-লক্ষাধিক জেলে আর্থিক সংকটে পড়ে হতাশায় ভুগছে। জেলা মৎস্য বিভাগ বলছে, শিগগিরই জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে। চাঁদপুর সদর, হাইমচর, মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলায় সর্বমোট ৫১ হাজার ১৮৯ জন  জেলে রয়েছে। জেলে কামাল দেওয়ান ও ফজলুল হক বেপারি বলেন, বুক ভরা আশা নিয়ে নদীতে  নেমেছি কিন্তু নদীতে মাছ না পেয়ে হতাশা নিয়ে ফিরে এসেছি। ভরা মৌসুমেও চাঁদপুরের নদীগুলো ইলিশ শূন্য। পদ্মা-মেঘনায় দিনরাত জাল ফেলেও ইলিশের নাগাল পাচ্ছি না। অধিকাংশ সময়ই শূন্য হাতে জাল-নৌকা নিয়ে ফিরে আসতে হয়। জালে যে পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ে, তাতে নৌকার খরচই উঠছে না। আমরা নদীতে এখনো কাক্সিক্ষত ইলিশের দেখা পাচ্ছি না। ক্রেতা তসলিম বেপারি ও জমির পেদা বলেন, ভরা মৌসুমে ইলিশের সংকট ও দাম সহনীয় না থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেন। বাজারে এসে দেখছি মাছের দাম তুলনামূলক একটু বেশি। তাই মাছ না কিনেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। দাম কমলে তখন কিনব। এখন ছোট সাইজের ইলিশের কেজিই ৪৫০ টাকা। ইলিশের শহর চাঁদপুর হলেও ইলিশের নাগাল পাচ্ছি না আমরা চাঁদপুরবাসী।  আড়তদার মানিক জমাদার ও হাজী আঃ মালেক খন্দকার জানান, জেলেদের জালে ইলিশ না ধরা পড়ায় আড়তগুলো মাছশূন্য। ভরা মৌসুমেও আড়তে ইলিশ না আসায় আমরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। অন্যান্য বছর স্থানীয় নদী ও বরিশালের (নামার) অনেক মাছ আসতো। তখন ভাত খাবার সময় পেতাম না। এবার আড়তে মাছ না থাকায় আমরা অলস সময় পার করছি। বর্তমানে এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৮০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা, ৯শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৪০০ টাকা থেকে ১৬০০ টাকা এবং ৫শ’ থেকে ৮শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৮০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।  ইলিশ গবেষক ও চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আনিসুর রহমান বলেন, বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পেলে ও সামনে অমাবশ্যা-পূর্ণিমাকে কেন্দ্র করে খুব সহসাই ইলিশের প্রাপ্যতা বৃদ্ধি পাওয়ার আশা করছি। চলতি বছর দেশে ইলিশের উৎপাদন পৌনে ৬ লাখ মেট্রিক টন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গতবছর যা ছিল সাড়ে ৫ লাখ মেট্রিক টন।

সর্বশেষ খবর