হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাত দিন ধরে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে ভর্তি রোগী, আবাসিক চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফরা পড়েছেন দুর্ভোগে। ভেঙে পড়েছে সেবা। পানির অভাবে টয়লেটের দুর্গন্ধে নষ্ট হয়ে গেছে হাসপাতালের পরিবেশ। অনেকে চিকিৎসা না নিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এ পরিস্থিতির জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করছেন রোগী ও স্বজনরা। জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র পানির পাম্পটি বৈদ্যুতিক শটসার্কিট হয়ে পুড়ে যায়। এক সপ্তাহ পার হলেও তা মেরামত না হওয়ায় পুরো হাসপাতালে চলছে পানির জন্য হাহাকার। সংশ্লিষ্ট সবাইকে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আবাসিক চিকিৎসক ও তাদের পরিবারের জন্য বাহির থেকে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। ভর্তি রোগীরা মসজিদ থেকে বোতলে করে পানি নিয়ে টয়লেটসহ অন্য কাজ সারছেন।

 সিনিয়র স্টাফ নার্স সাহানারা ইয়াসমিন বলেন, এর আগেও একাধিকবার এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় ১৮টি বেড রয়েছে। যেখানে প্রায় দুই মাস পানি সরবরাহ বন্ধ আছে। সেখানকার ভর্তি রোগীরা টয়লেট সারতে আসেন পুরনো ভবনের দ্বিতীয় তলায়। শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি ছয় মাসের শিশু রায়হানের মা রাবেয়া আক্তার জানান, ছয় দিন ধরে এখানে চরম কষ্টে আছি। ভর্তি রোগী শিখা আক্তার, রহিমা, রাশিদা, জোৎসনা, সুফিয়া, আলাল উদ্দিন বলেন, হাসপাতালে মানুষ আসে রোগ সারাতে, আর আমরা মরতে বসেছি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) আবদুল্লাহ আল শামীম জানান, পাম্পটি মেরামতের কাজ চলছে। আশা করছি, দু-এক দিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে। তখন পানির সমস্যা থাকবে না। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, একটি মাত্র পানির পাম্পের ওপর নির্ভর না করে একাধিক পাম্পের ব্যবস্থার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানভীর হাসান জিকু হজ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরব যাওয়ায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত পানি সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া পারভেজ।