শনিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

১৫ এসএসসি পরীক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৫ শিক্ষার্থীকে এসএসসি পরীক্ষায় ফরম পূরণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে অভিভাবকেরা অভিযোগ করে বলেন, শহরে অবস্থিত কমলাপুর উচ্চবিদ্যালয়ে গত নির্বাচনী পরীক্ষায় ৩৬ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে মাত্র একজন সব বিষয়ে পাস করে। বাকি শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয়ে অকৃতকার্য হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিমা আহমেদ ২১ জনকে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের অনুমতি দেন। এছাড়া ১৫ জনের মধ্যে তিন, চার বিষয়ে অকৃতকার্য থাকা শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণে অনুমতি দেয়নি। অভিযোগে আরও বলা হয়, এ নিয়ে গত ১০ ডিসেম্বর প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের করে দেন। এ ব্যাপারে গত ১৮ ডিসেম্বর ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও ২৬ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির কাছে ওই ১৫ জনকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের আবেদন জানালেও এ সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি। অভিভাবকরা আরও বলেন, যে সব শিক্ষার্থী ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট পড়েছে, নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলেও তাদের-ই ফরম পূরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অনিয়ম করে আমাদের ১৫ শিক্ষার্থীকে ফরম পূরণ করতে অনুমতি দিচ্ছে না।

এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাদের পুলিশ দিয়ে হয়রানি পর্যন্ত করছেন। অথচ এই কোমলমতি ১৫ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ না দিয়ে অমানবিকভাবে তাদের এক অনিশ্চিত ভবিষতের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ফরিদপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের কথা তুলে ধরেন। এ সময় অনেক শিক্ষার্থী কান্নায় ভেঙে পড়ে। এ বিষয়ে বারবার ফোন দেওয়া হলেও ফোন না ধরায় অভিযোগ সম্পর্কে কথা বলা সম্ভব হয়নি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিমা আহমেদের সঙ্গে। তবে কথা হয় ওই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সাইফুল আহাদ সেলিমের সঙ্গে। সাইফুল আহাদ বলেন, এ বিদ্যালয়টি আমার বাবা প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ইমাম উদ্দিন আহমাদ স্থাপন করেছেন। এ বিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের পরিবারের আবেগ অনুভূতি জড়িয়ে আছে। এ সমস্যার কথা আমি শুনেছি। আমাকে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ফোন করা হয়েছে। আমি তাদের ও প্রধান শিক্ষককে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিষয়টি সহানুভূতিশীলতার সঙ্গে গভীর ভালোবাসা দিয়ে সমাধান করতে পরামর্শ দিয়েছি। তিনি বলেন, এ সমস্যার তো ইতোমধ্যে সমাধান হয়ে যাওয়ার কথা।

 

সর্বশেষ খবর