বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

বর্জ্যে দূষিত মাথাভাঙ্গার পানি

জামান আখতার, চুয়াডাঙ্গা

বর্জ্যে দূষিত মাথাভাঙ্গার পানি

চুয়াডাঙ্গায় মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে আবর্জনার স্তূপ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদীর পাড় ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে নদীর পাড়ে। এ কারণে এক সময়ের খরস্রোতা মাথাভাঙ্গা ময়লা-আবর্জনায় ভরাট হয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে পরিবেশ ও নদীর পানি। এ নিয়ে এলাকার লোকজন দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করলেও আমলে নিচ্ছে না পৌর কর্তৃপক্ষ। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, শহরের কেদারগঞ্জ নতুনবাজার এলাকার সব ময়লা-আবর্জনা আর বর্জ্য যাচ্ছে নদীতে। বাজারসংলগ্ন মাথাভাঙ্গা নদীর পাড় বানিয়ে ফেলা হয়েছে ভাগাড়। বাজারের কসাইখানার রক্ত, পশুর উচ্ছিষ্ট ও মুরগির নাড়িভুঁড়ি নদীর পাড়ে ফেলা হয়। এমনকি পৌরসভার কয়েকটি ভ্যান প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ্য এনে রেখে যাচ্ছে নদীর পাড়ে। এসব গিয়ে পড়ছে পানিতে। নদীর তীরেও জমা হয়েছে ময়লার স্তূপ। বাজারে আসা কয়েকজন জানান, বাজার করতে এলে নাকে রুমাল ধরে আসা লাগে। উৎকট দুর্গন্ধে ওই এলাকায় যাওয়া যায় না। এসব ময়লা আবর্জনায় রোগ-জীবাণু ছড়াচ্ছে। বাজারের সব আবর্জনা নদীর পাড়ে ফেলা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা সাগর হোসেন অভিযোগ করেন, আগে আমরা মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতাম। এখন নদীতে নামলেই গা চুলকায়। শরীরে বিভিন্ন রকম র‌্যাশ বের হয়। স্থানীয় কেদারগঞ্জ বাজার কমিটির সভাপতি গোলাম মোর্তুজা বলেন, আমরা এ বিষয়ে কয়েকবার চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়রকে জানিয়েছি। বৃষ্টির সময় ময়লার ভাগাড় থেকে মাথাভাঙ্গা নদীতে পানি যায়। এ কারণেই এই স্থানে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙন রোধের জন্য এখানে ময়লা ফেলা হয়। তবে এতে নদীর ক্ষতি হচ্ছে। এটা পৌরসভার দেখা উচিত।

চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক বলেন, ‘হাটবাজারের ময়লা-আবর্জনা নদীতে যায় ঠিকই। এ অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কিন্তু চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার তেমন কোনো ময়লা ফেলার জায়গা নেই। ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য চুয়াডাঙ্গায় ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণের কাজ চলছে। নির্মাণকাজ শেষ হলে এ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।’

সর্বশেষ খবর