আসাব উদ্দিন ও তার স্ত্রী নাছিমা বেগম। দুজনই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। ভিক্ষাবৃত্তি করে চলে সংসার। নেই মাথা গোঁজার নিরাপদ আবাসস্থল। ভাঙাচোরা ঘরে এ দম্পতি চার সন্তান নিয়ে অতিকষ্টে দিন কাটান। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এই দম্পতি কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশীখালী ইউনিয়নের নয়া ঘোনাপাড়ার বাসিন্দা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আসাব উদ্দিনের বসতঘরের মাটির দেয়াল ভাঙা, টিনের চালে শত শত ফুটো। সামান্য বৃষ্টিতে ভিজে যায় ঘরে থাকা কাপড়চোপড়সহ সবকিছু। আসাব উদ্দিন বলেন, ‘ছয় সদস্যের পরিবার। ভিক্ষা করে যা পাই তা দিয়ে পরিবারের খরচ জোগাতে পারি না। ঘরের মাটির দেয়াল ভেঙে পড়েছে। চাল দিয়ে পানি পড়ে।’ নাছিমা বেগম বলেন, ‘বৃষ্টি হলেই সারা রাত বসে কাটতে হয়। ভাঙা দেয়ালের ফাঁক দিয়ে প্রায়ই ঘরে কুকুর ঢুকে খাবার খেয়ে ফেলে। সারাক্ষণ ঘরের নিচে চাপা পড়ার ভয়ে থাকি।’ কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ওই পরিবারের বিষয়ে আমার জানা ছিল না।
সরেজমিনে তাদের পরিস্থিতি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’