বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে বগুড়ায় বিএনপি নেতা শফিউর রহমান জ্যোতিকে চরমপন্থি বানিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবার। তাদের দাবি, চরমপন্থি দলের সদস্য বলে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত জ্যোতি বগুড়ার ধুনট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। সেই সময় পুলিশ দাবি করেছিল, তাদের গুলিতে জ্যোতি নিহত হননি। চরমপন্থিদের বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন তিনি। এ দাবি করে শেরপুর থানা পুলিশ অজ্ঞাতদের আসামি দেখিয়ে একটি মামলা করে। সেই সঙ্গে তখন ধুনট থানার পুলিশও পৃথক একটি মামলা করে। শফিউর রহমান জ্যোতিকে হত্যার ঘটনায় গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর তাঁর ছেলে মো. রওশন জামিল রাসেল বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় ৮ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম জানান, মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নিহত জ্যোতির ছেলে রাসেল যে মামলাটি আদালতে করেছেন সে মামলার প্রতিবেদন আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলাটি পিবিআই পুলিশ বগুড়া তদন্ত করছে। পিবিআই বগুড়ার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, নিহত শফিউর রহমান জ্যোতির ছেলে আদালতে মামলা করলে মামলাটি বগুড়া পিবিআইয়ের একজন কর্মকর্তা তদন্ত করছেন। তদন্তের অগ্রগতি ভালো। তবে কীভাবে তিনি খুন হয়েছেন বিষয়টি তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল লোকমুখে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার সংবাদে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে গিয়ে লাশ দেখতে পায় জ্যোতির পরিবার। লাশের শরীরে গুলির চিহ্ন, হাতের ও পায়ের আঙুলের নখ উপড়ানো দেখতে পান তারা। লাশ দাফন করার পর জ্যোতির পরিবারের সদস্যরা শেরপুর থানায় মামলা করতে গেলে নেয়নি পুলিশ, দাবি তার পরিবারের। বরং থানা পুলিশ কর্তৃক বাদীকে হয়রানি করা হয়। তবে পুলিশের তরফে করা মামলায় নিহত জ্যোতির খুনের ঘটনার স্থান দেখানো হয়েছে ধুনট থানার মথুরাপুর চান্দাইকোনা সড়কের তালতলা এলাকা। তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৯ সালের ২৭ এপ্রিল। এ ছাড়া শেরপুর থানা পুলিশ জ্যোতি হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি দেখিয়ে মামলা করে।