নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ধর্ষণ মামলার আসামি ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে বাদীর পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় সাতভাইয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত বছরের ২৫ জুন রাতে সাতভাইয়াপাড়া গ্রামে দোকানে যাওয়ার পথে এক শিশুকে মুখ চেপে ধরে পাশের একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার গ্যারেজে নিয়ে ধর্ষণ করেন মাসুম মিয়ার ছেলে মারুফ হোসেন।
এ ঘটনায় ২৮ জুন ভুক্তভোগীর খালা সোনারগাঁ থানায় ধর্ষণের মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে মারুফ হোসেন পলাতক থাকলেও সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসেন এবং মারুফের পরিবার ভুক্তভোগীর পরিবারকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছে। বুধবার বিকালে বাদীর ভাতিজি কেনাকাটা করতে দোকানে গেলে মারুফের বাবা মাসুম মিয়া তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং মামলা তুলে নিতে পুনরায় হুমকি দেন।
এ নিয়ে কথাকাটাকাটি হলে মাসুম মিয়ার নেতৃত্বে মো. খোকন, মারুফ হোসেন ও সাইমা আক্তারসহ ৮-১০ জন লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় বাদীর বোন, ভাগনে ও এক শিশুকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ ঘটনায় গতকাল বিকালে বাদী আবারও থানায় অভিযোগ করেন। জানতে চাইলে মাসুম মিয়া বলেন, মিথ্যা মামলায় আমার ছেলেকে ফাঁসিয়েছে। বিষয়টি মীমাংসার কথা বলতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা হয়। কারও ওপর হামলা করা হয়নি। সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বলেন, হামলার ঘটনায় অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।