নোয়াখালীর উপকূলীয় সুবর্ণচরে শনিবারের শিলাবৃষ্টিতে তরমুজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ১০-১৫ দিনের মধ্যে তরমুজের ফলন ঘরের তোলার কথা থাকলেও অসময়ে শিলাবৃষ্টির কারণে তরমুজের ফসলী জমিগুলোতে পানি জমে গেছে। এতে বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়ার আশংকা করছে কৃষক।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী নোয়াখালীতে এবার সাতে তিন হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এবার ফলনও হয়েছিল ভালো। আর ১০-১৫ দিনের মধ্যে ফলন ঘরের তোলার কথা থাকলেও শনিবার দুপুরের পর থেকে প্রচন্ড বেগে বাতাসের সঙ্গে শিলাবৃষ্টির কারণে সবগুলো তরমুজের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বেশির ভাগ তরমুজের ক্ষেত জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
এদিকে বৃষ্টি নামার পর পরই নালা কেটে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলেও এতে খুব একটা ফল পাওয়া যাবে বলে মনে করছে না কৃষক। এক সপ্তাহ আগেও একবার বৃষ্টিতে তরমুজের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্থ হয় বলে জানান তরমুজ চাষিরা। সদর উপজেলার ভাটির টেক এলাকার কৃষক রুহুল আমিন সর্দর জানান, বৃষ্টিতে তার ১৫ একরের তরমুজের ক্ষেত সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তরমুজের চাষ করে এখন দিশেহারা তিনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক প্রনব ভট্রাচার্য্য জানান, হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে তরমুজচাষিরা বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এতে কমপক্ষে ৪০ ভাগ জমির ফলন নষ্ট হয়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ভারি বর্ষণে সবগুলো জমিতে পানি জমে আছে। অনেক স্থানে পানির নিচে তলিয়ে গেছে ফলন। তাদেরকে সহযোগিতার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছে কৃষি বিভাগ।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ