জলোৎসবে মাতোয়ারা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর তরুণ-তরুণীরা। পাহাড়ে বৈসাবি ও বাঙালীদের বর্ষবরণ উৎসব শেষ হতে না হতেই আবারও শুরু হয়েছে মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাইং উৎসব। মারমা ভাষায় এ উৎসবকে বলা হয় ‘রিলংপোয়ে’। পুরোন বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে বরণ করতে এ উৎসবের আয়োজন করে মারমা ও রাখাইন সম্প্রদায়।
জলখেলার জন্য এরা আগে থেকে প্যান্ডেল তৈরি করে। ঐ প্যান্ডেলে মারমা যুবক-যুবতীরা একে অপরের প্রতি জল ছিটিয়ে কাবু করার প্রতিযোগিতায় সামিল হয়। এসময় কৃত্রিম ভারি বর্ষণ হয় অনুষ্ঠানস্থল জুড়ে। উৎসবের আনন্দ জলে সিক্ত হয় মারমা তরুণ-তরুনীরা। আনন্দ-উলাসে নেচে গেয়ে পার করে দিন।
রবিবার বেলা ১১টায় জেলার কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে মারমা সংষ্কৃতি সংস্থা (মাসস) এর উদ্যোগে আয়োজিত সার্বজনীন জলোৎসবের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।
এসময় তিন পার্বত্য জেলা সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার মো, গোলাম ফারুক, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান, রাঙামাটি জোন কমান্ডার রেদোয়ান, মারমা সংষ্কৃতি সংস্থার আহবায়ক অংসু ছাইন চৌধুরী, জেলা অতিরিক্তি পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম, জেলা পরিষদের সদস্য মুছা মাতব্বর উপস্থিত ছিলেন।
এসময় উৎসবে মারমা সম্প্রদায় ছাড়াও উৎসবে যোগ দিয়ে ছিল চাকমা, ত্রিপুরা, খিয়াং, গুর্খা, অহমিয়া, তঞ্চঙ্গ্যা, উসুই, লুসাই, চাক, রাখাইন, খুমী, বমসহ বাঙালি জনগোষ্ঠীর হাজার হাজার নারী-পুরুষ। শিশু, কিশোর, তরুণ, তরুণীসহ সব বয়সের মানুষ সমবেত হয় এ উৎসবে। রাঙামাটির মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাইংকে ঘিরে উৎসবমুখর হয়ে ওঠেছে পাহাড়ি জনপদ।
পার্বত্য তিন জেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের পদচারণায় উৎসবের নগরীতে পরিনত হয় পুরো কাউখালী উপজেলা। সকাল থেকে তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানসহ চট্টগ্রাম থেকেও মানুষে ঢল নামতে শুরু করে জলোৎসবস্থলে। বেলা বাড়ার সাথে সাখে জন সমুদ্রে পরিনত হয় চন্দ্রঘোনা চিৎমরম এলাকা। পাহাড়ি-বাঙালিসহ সব ধর্ম, বর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সম্প্রীতির মিলন মেলায় জমে উঠে সাংগ্রাইং উৎসব।
প্রসঙ্গত, পার্বত্যাঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসমূহগুলো বৈসাবিকে ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে পালন করে থাকে। যেমন-চাকমারা-বিজু, ত্রিপুরা-বৈসুক, তঞ্চঙ্গ্যারা-বিষু, অহমিয়ারা-বিহু, মারমারা-সাংগ্রাইং নামে পালন করে থাকে। মারমা তরুণ-তরুণীরা একে অপরকে জল ছিটিয়ে পুরাতন বছরের সমস্ত গ্লানি, দুঃখ, বেদনা ও অপশক্তিকে ধুয়ে মুছে দূর করে নতুন কওে জীবন যাত্রা শুরু করে।
শিরোনাম
- স্বতন্ত্র বিচার বিভাগীয় সচিবালয়ের দাবিতে পঞ্চগড়ে মানববন্ধন
- স্বতন্ত্র বিচার বিভাগীয় সচিবালয়ের দাবিতে পঞ্চগড়ে মানববন্ধন
- ঠাকুরগাঁওয়ে ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির মানববন্ধন
- সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি!
- তিস্তা মহাপরিকল্পনা এ বছরের শেষ নাগাদ চূড়ান্ত হবে: রিজওয়ানা হাসান
- আ. লীগ সরকারের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
- বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, টানা ৫ দিন বর্ষণের আভাস
- সুনির্দিষ্ট সময়েই নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার: প্রেস সচিব
- মালয়েশিয়ায় প্রবেশে ব্যর্থ: ফেরত আসছে ৯৬ বাংলাদেশি
- বর্ষাকালে নিজেকে সুস্থ রাখতে যা করবেন
- সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র : ডা. জাহিদ
- প্রতিদিন মিষ্টি আলু খেলে মিলবে যেসব উপকার
- মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা
- ‘যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করে না ইরান, যে কোনো অভিযানের জন্য প্রস্তুত’
- বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে মিশরীয় উদ্যোক্তাদের আমন্ত্রণ
- দেশের প্রেক্ষাগৃহে আসছে নেপালি সিনেমা ‘মিসিং’
- ২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের
- ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন কেনিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী
- মুসলিম যুবকদের প্রতি প্রোগ্রামিং ও এআই শেখার আহ্বান
- ওড়িশায় যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে গায়ে আগুন দেয়া সেই ছাত্রী মারা গেছে
পাহাড়ে জলোৎসবে মাতোয়ারা তরুণ-তরুণীরা
ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি:
অনলাইন ভার্সন

বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

‘মার্কিন শুল্ক হুমকিতে রাশিয়া বিচলিত হওয়ার চেয়ে স্বস্তি পেয়েছে বেশি’
৪২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আ. লীগ সরকারের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়