টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মাত্র ৭ দিনের মধ্যে যমুনার পানি ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যার রেকর্ড ভেঙে বিপদসীমার ১৫২ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে পানি না বাড়লেও স্থিতিশীল রয়েছে। এখন পর্যন্ত যে খবর, তাতে জেলার ৫ উপজেলার তিন শতাধিক গ্রামের তিন লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
এছাড়া ১০ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন-পাট-শাক সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। ২৪৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আর চরাঞ্চলের টিউবওয়েল তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি সেখানকার মানুষ সার্বক্ষণিক পানিতে চলাফেরা করায় হাত-পায়ে ঘা দেখা দিয়েছে। তাদের রান্নার উপকরণ না থাকায় অনেকে অর্ধাহারে অনাহারে দিনযাপন যাপন করছে। এসব মানুষ অবিলম্বে শুকনো খাবার ও ওষুধের জন্য সরকারে কাছে দাবি জানিয়েছেন। সরকারিভাবে ৩৩৫ মেট্রিক টন চাল ও নগদ সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হলেও তা অনেকের কাছে পৌঁছায়নি।
অন্যদিকে, বাঁধে আশ্রয় নেয়া মানুষগুলো পলিথিন ও ঝুপড়ির মধ্যে গরু-ছাগলের সাথে রাত যাপন করছে। তবে এসব এলাকার মানুষের অভিযোগ এতো কষ্ট থাকলেও এলাকার জনপ্রতিনিধরা তাদের খোঁজ খবর নিতে আসেনি। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও পানি চুইয়ে চুইয়ে বের হওয়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বিডি-প্রতিদিন/১৭ আগস্ট, ২০১৭/মাহবুব