শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা আব্দুল খালেক তালুকদার অরফে মালেক নামে এক বৃদ্ধ প্রতিপক্ষের নিক্ষেপ করা ককটেলের শব্দে নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার।
রবিবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের পশ্চিম ছাব্বিশ পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল খালেক তালুকদার (৭২) উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের পশ্চিম ছাব্বিশ পাড়া গ্রামের মৃত. আব্দুল কাদির তালুকদারের ছেলে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জয়নগর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুল হালেম তালুকদার (৫০) সঙ্গে তার চাচাতো ভাই আবু তালুকদারের (৬৫) এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধের জের ধরে রবিবার বেলা ১১টার দিকে আবু তালুকদারের ভাতিজা আরিফুল ইসলাম মুছা ঢাকা যাওয়ার পথে পূর্ব ছাব্বিশ পাড়া এলাকায় গেলে আব্দুল হালেম তালুকদার তার লোকজন বাধা দেয় এবং পরে বাকবিতণ্ডা হয়। বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে দু'পক্ষের লোকজনের সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে অলি তালুকদার (৪০), আরিফুল ইসলাম মুছা (১৯), ছায়দুল তালুকদার (৩৫) আহত হয়। আহতদের জাজিরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পরে আব্দুল হালেম তালুকদারের লোকজন গিয়ে আবু তালুকদারের বাড়িতে পাঁচটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। বিস্ফোরণের শব্দে আবু তালুকদারের বড় ভাই আব্দুল খালেক তালুকদার মাটিতে লুটিয়ে পরে। তখন স্থানীয়রা খালেক তালুকদারকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
বিকেলে ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক তালুকদারের বাড়িতে তল্লাশি করে জাজিরা থানা পুলিশ। তখন বাড়ির পশ্চিম পাশের একটি পরিত্যাক্ত ঘর থেকে ১৪টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
নিহত আব্দুল খালেক তালুকদার অরফে মালেকের মেয়ে নান্নু আক্তার বলেন, আমার বাবাকে হত্যা করেছে মেম্বর আব্দুল হালেম তালুকদারের লোকজন। আমার বাবার হত্যাকারীদের বিচার চাই।
ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক তালুকদারের স্ত্রী সেলিনা বেগম (৩৮) বলেন, আবু তালুকদারের লোকজন আমাদের উপর হামলা করে। আমাদের কেউ ককটেল মারতে যায়নি। ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে। ককটেল পাওয়া গেছে হাজী নুরুল হক মাদবরের ঘরে। আমাদের ঘরে না। নুরুল হক মাদবর আবু তালুকদারের লোক।
জাজিরা থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন শেখ বলেন, পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ঘটনার পর ইউপি সদস্য আব্দুল হালেম পালিয়েছে। হালেমের বাড়ির পশ্চিম পাশে হাজী নুরুল হক মাদবরের পরিত্যাক্ত ঘর তল্লাশি করে ১৪ টি ককটেল উদ্ধার করি। নিহতের ঘটনায় তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর