বাগেরহাটের কচুয়ায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসা আজিম (২৫) নামে এক যুবককে হত্যার এক বছর পর নারীসহ ৩ ঘাতককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, পাবনার সদর উপজেলার মিনদাহ গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে মো. বিপ্লব মোল্লা (২৫), তার স্ত্রী রিনা বেগম (২০) ও তার শ্যালক বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার ছোট চরকাঠি গ্রামের মোহম্মদ তালুকদারের ছেলে মো. সালাউদ্দিন তালুকদার (১৪)। তবে নিহত আজিমের স্ত্রী রুবিনা বেগমকে পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। গত রবিবার বাগেরহাট পুলিশের একাধিক দল ঢাকা ও বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পুলিশ কচুয়া উপজেলার ছোট চরকাঠি গ্রামে মাটির নিচে পুঁতে রাখা নিহত আজিমের দেহাবশেষ শরীরের কিছু অংশ উদ্ধার করেছে। নিহত আজিম সুনামগঞ্জের তাহেরপুর উপজেলার কাউকান্দি গ্রামের মো. মনজুল হকের ছেলে। তিনি ঢাকার একটি পোশাক কারখানার কর্মী ছিলেন।
প্রায় এক বছর আগে সুনামগঞ্জের তাহেরপুর উপজেলার কাউকান্দি গ্রামের মো. মনজুল হকের ছেলে আজিমকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার ছোট চরকাঠি গ্রামে বসে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। পরে তার লাশ গুম করতে বাড়ির পাশে মাটির নিচে পুঁতে রাখে বলে গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। এই ঘটনায় কচুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবুল হাসান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
দেহাবশেষের মধ্যে পাওয়া গেছে তার ব্যবহ্নত কালো রং এর একটি জিন্সের প্যান্ট, কিছু হাড় ও চুল। উদ্ধার হওয়া এসব দেহাবশেষ নিহত আজিমের বলে ধারণা করছে পুলিশ। এসব দেহবাশেষ পরীক্ষার জন্য ফরেনসিকে পাঠাচ্ছে।
আজ সোমবার দুপুরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় এসব তথ্য তুলে ধরেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার