সুনামগঞ্জ-সিলেট রুটে বহুল প্রতিক্ষিত বিআরটিসির বাস সার্ভিস চালু হয়েছে। এক ঘণ্টা অন্তর অন্তর দুই প্রান্ত থেকে যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে যাবে চারটি বাস। বাসের সংখ্যা আগামীতে আরো বাড়ানো হবে।
সোমবার দুপুরে শহরের নতুন বাস স্টেশন থেকে বিআরটিসির বাস সার্ভিস আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলের হুইপ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ এমপি, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, পৌর মেয়র নাদের বখত, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল প্রমুখ।
এ সময় পুরাতন বাস স্টেশন থেকে যাত্রী নিয়ে একটি বাস সিলেটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
প্রসঙ্গত, সুনামগঞ্জ-সিলেট রুটে নিম্নমানের অভ্যন্তরীণ বাস সেবার কারণে দীর্ঘদিন ধরে প্রচণ্ড ক্ষোভ ছিল এই রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের মাঝে। নতুন এই বাস সার্ভিস চালুর কারণে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।
এদিকে, বিআরটিসি বাস চালুর সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ‘সুনামগঞ্জ জেলা পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’ নামের একটি সংগঠন। রবিবার রাত আড়াইটায় শহরের পৌর বিপণীস্থ মালিক, শ্রমিক ঐক্য পরিষদ কার্যালয়ে বৈঠক শেষে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।
ধর্মঘটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঈদে ঘরমুখো সাধারণ মানুষ। তাদের ডাকা এই ধর্মঘটকে অযৌক্তিক দাবি করেছেন তারা। জাবেদ নামের এক যাত্রী বলেন, ‘গত ৫০ বছরেরও যাত্রীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে উন্নত বাস সেবা দিতে পারেনি তারা। এখন ভাল মানের বাস রাস্তায় নেমেছে দেখে, এর বিরুদ্ধে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। এটা সম্পূর্ণরূপে অযৌক্তিক।’
সুনামগঞ্জ জেলা পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, ‘সড়ক স্থাপনের পর থেকে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে আমরা যাত্রীসেবা দিয়ে আসছি। ইতোমধ্যে আমরা আমাদের বাসের মানও উন্নত করেছি। আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই অভ্যন্তরীণ সড়কে বিআরটিসি বাস চলাচলের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে মালিক, শ্রমিকদের অনেক ক্ষতি হবে। আমরা এর প্রতিবাদে সোমবার ভোর ৬টা থেকে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে কর্মবিরতির ঘোষণা করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি, বিআরটিসি বাস চলাচলের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা বন্ধ করতে হবে। না হলে, দাবি না মানা পর্যন্ত আমারা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন