হেমন্তের আগমনে ঘরে ঘরে নবান্ন উৎসব চলছে। হবিগেঞ্জর নবীগঞ্জ উপজেলায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষাণ-কৃষাণীর চোখে-মুখে আনন্দের ঝিলিক দেখা দিয়েছে। ধানে ধানে ভরে গেছে মাঠ। যতদূর চোখ যায় মাঠে সোনালি ধানের শীষ। চারদিকে মৌ মৌ গন্ধ।
এখন কৃষাণ-কৃষাণীরা গোলা, খলা, আঙ্গিনা পরিষ্কার করার কাজে ব্যস্ত।
হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থাণ সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আগাম জাতের কিছু কিছু ধান পাকলেও ১০/১৫ দিনের মধ্যে আমন ধান পুরোদমে কাটা-মাড়াই শুরু হবে। বন্যার কারণে কৃষকের বোর ফসলের ক্ষতি হলেও আমন ধানের ফলন ভালো হওয়ায় আশায় বুক বাঁধছেন কৃষকরা। ইতিমধ্যে হাটবাজারে নতুন ধান উঠতে শুরু করেছে। বর্তমানে ধানের দামও ভালো। তাছাড়া আগাম ধান কাটার পর আবার একই জমিতে সরিষা চাষ করতে পারবেন কৃষকরা।
হবিগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তমিজ উদ্দিন খান জানান, জেলায় এবার আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৭৯ হাজার হেক্টর। অর্জিত হয়েছে ৭৮ হাজার হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অধিক পরিমাণ জমিতে আমন ফসল অর্জিত হয়েছে। উৎপাদন হবে ২ লক্ষ ২০ হাজার টন আমন ধান। তিনি আরো জানান, পরিবেশ ভালো থাকায় এবার আমন ধানে বিভিন্ন রকমের রোগবালাই কম হওয়ায় কৃষকরা স্বপ্রণোদিত হয়ে বাড়তি জমিতে আমন ধানের চাষ করেছে, বিধায় উপজেলায় এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এক্ষেত্রে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে নানা সহযোগিতা ছিল।
তিনি বলেন, এক বিঘা জমিতে আমন ধান আবাদ করতে খরচ হয় ৭-৮ হাজার টাকা পর্যন্ত। আগাম জাতের উৎপাদনের সময় লাগে ৯০-১০০ দিন। এ থেকে ধান উৎপাদন হয় ১৪-১৬ মণ পর্যন্ত। আর অন্য জাতের ধান উৎপাদনে সময় লাগে ১২০ দিন পর্যন্ত। ধান উৎপাদন হয় ২০-২৫ মণ পর্যন্ত। তবে এবার ধানের দাম পাবে কৃষকরা। বর্তমানে বাজারে প্রতি ২ মণ বস্তায় নতুন ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১২ টাকায়।
তিনি জানান, কৃষকরা আমন ধান রোপনে লাইন ও লগু ঠিক রাখার কারনে রোগ বালাই কম থাকায় এমন ফলন হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় এ বছর ফলন বেশী হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল