জ্বালানী তেল বিক্রির কমিশন সাড়ে ৭ শতাংশ বৃদ্ধিসহ ১৫ দফা দাবিতে রবিবার সকাল থেকে পেট্রোল পাম্পে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেছে বাগেরহাটের সব ফিলিং স্টেশনগুলো। এই দাবিতে সকাল থেকে জ্বালানী তেল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে যানবাহনের চালকেরা।
রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লড়ি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ যৌথ ভাবে অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘট শুরু করছে। এই ৩ বিভাগে প্রায় দুই হাজার পেট্রল পাম্পের পাশাপাশি ধর্মঘটের আওতায় ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহনও বন্ধ রয়েছে।
রবিবার সকাল থেকে বাগেরহাট শহর ও মহাসড়কের পাশের বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা দেখা গেছে। কোন পাম্পই পেট্রোল ও ডিজেল বিক্রি করছে না। অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকে সব পাম্পে তেল বিক্রি বন্ধ রেখেছে। ধর্মঘটের কারণে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। তারা পাম্পে এসে তেল কিনতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন। অনেক খুচরা তেল দোকানী গোপনে বেশী দামে তেল বিক্রি করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। আবার অনেকে পার্শ্ববর্তী জেলা পিরোজপু ও গোপালগঞ্জ থেকে ছোট-বড় যানবাহনের জন্য তেল সংগ্রহ করছেন। দাবি ন্যায় সঙ্গত। আমাদের তেল বিক্রিতে যে কমিশন দেয় তা থেকে শ্রমিকদের বেতন দিয়ে লাভ থাকে সীমিত। তারা বিভিন্ন সময়ে এই কমিশন বৃদ্ধিসহ নানা দাবি জানিয়ে আসছি সরকারের কাছে। এই সব দাবি নিয়ে সরকারের সাথে বিভিন্ন সময় আলোচনা করলেও আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই মেলেনি। তাই ধর্মঘট শুরু করা হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘট চলবে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ নভেম্বর পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লড়ি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ বগুড়ায় সংবাদ সম্মেলনে ধর্মঘটের এ ঘোষণা দেয়া হয়। তারা ধর্মঘট শুরুর আগে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ১৫ দফা দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আল্টিমেটাম দেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন