বরিশালের বাবুগঞ্জে ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রের শরীরে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় প্রেরণ করেন।
এ ঘটনার জন্য দায়ীদের গ্রেফতার ও উপযুক্ত শাস্তি দাবী করেছেন ওই ছাত্রের স্বজনরা। এদিকে তদন্ত শেষে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।
গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। দগ্ধ ছাত্রের নাম মো. মাহফুজ ঢালী (১৩)। সে ওই এলাকার কাশেম ঢালীর ছেলে এবং স্থানীয় বকশীর চর দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
মাহফুজের স্বজনরা জানান, মোবাইল কেনা বাবদ ৬শ’ টাকা নিয়ে বিবাদের জের ধরে মাহফুজকে শনিবার সন্ধ্যায় একটি নির্জন স্থানে ডেকে নেয় তার বন্ধু বাপ্পী। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিলো তাদের আরেক বন্ধু তামিম। ৬শ’ টাকা নিয়ে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে মাহফুজের গায়ে কেরসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। তার চিৎকারে স্থানীয় এগিয়ে আসার আগেই মাহফুজের শরীরের একাংশ পুড়ে যায়। পরে তারা তাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়েছেন তার বোন কুলসুমী ও ভাই মো. মাসুদ ঢালী।
শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. এমএ আজাদ জানান, তার শরীরের ২৩ ভাগ পুড়ে গেছে। একই সাথে পুড়েছে তার শ্বাসনালীর অংশ বিশেষ। এ অবস্থায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এর পরপরই তাকে ঢাকায় নিয়ে যায় স্বজনরা।
এদিকে এ ঘটনা তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন