কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমাটিন নৌ-রুটে চলাচলকারী ৮টি পর্যটকবাহী জাহাজ কতৃপক্ষকে সতর্ক করেছে উপজেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত পর্যটক পরিবহন ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরে উপজেলার হ্নীলার দমদমিয়ায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নৌবন্দরে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবুল মনসুর, থানা পুলিশ পরিদশক (তদন্ত) এবিএমএস দোহা, অপারেশন কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম খান, নৌ-পুলিশের ওসি মো. আব্দুল্লাহ, নৌবন্দরের ট্রপিক কমকতা জহির উদ্দিন ভূইয়া, অপারেটর মো. জাহাঙ্গীর আলম, কেয়ারি সিন্দাবাদের মো. শাহ আলম, এমভি গ্রীনলাইন-১ মোহাম্মদ সোহরাব ও ইজারাদারের উসুল আদায়কারী মোহাম্মদ ফারুক প্রমূখ।
জানা যায়, গত ১ নভেম্বর থেকে কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন, আটলান্টিক ক্রুজ, এমভি ফারহান, কেয়ারি সিন্দাবাদ, এমভি দোয়েল, গ্রীণ-লাইন-১, বে-ক্রুজ ও এমভি পারিজাত নামে ৮টি জাহাজকে আগামী বছরের ৩০ মার্চ পর্যন্ত চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে এমভি শহীদ সালাম নামে আরও একটি জাহাজ অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে।
জাহাজের কর্তৃপক্ষের একজন বলেন, পর্যটকের যানমাল ও নিরাপত্তা সুব্যবস্থা নিশ্চিত করার পাশাপাশি যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে এ সভা করা হয়েছে। জাহাজে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও ধারণক্ষমতার অনুযায়ী লাইফ জ্যাকেট রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব বিষয় নিশ্চিত করার জন্য সর্তক করা হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবুল মনসুর বলেন, পর্যটকদের যানমাল ও নিরাপত্তা সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা সকলের দায়িত্ব। তবে কিছু জাহাজ অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিটি জাহাজের ধারণক্ষমতার অনুসারে লাইফ জ্যাকেট রাখার জন্য জাহাজ কর্তৃপক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে সর্তক করা হয়েছে। এ নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল