কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসা ভাতিজাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ভাই কর্তৃক ভাইকে খুনের অভিযোগ ওঠেছে।
সোমবার উপজেলার দৌলখাঁড় ইউনিয়নের সোন্দাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোহাম্মদ হোসেন মিয়া (৪০) ওই গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ ছয়জনকে আটক করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন পূর্বে বড় ভাই দুলালের দুই ছেলে সহিদ (২৮) ও আরমান হোসেন (২১) ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। তাদের চাচা হোসেন মিয়া জননিরাপত্তার স্বার্থে দুই ভাতিজাকে বাড়ি থেকে বের না হতে নির্দেশ দেন। এতে ভাতিজারা ক্ষিপ্ত হয়ে চাচা হোসেন মিয়াকে গালমন্দ করে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বড় ভাই দুলাল, তার ছেলে সহিদ, আরমান, আজিম, জালাল ও তার ছেলে ফারুকসহ ১০-১২ জনের একটি গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হোসেন মিয়াকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তার আত্মচিৎকারে আশে-পাশের লোকজন এসে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রী কোহিনুর বেগম জানান, সকালে তার স্বামী এক আত্মীয়ের জানাজা শেষে বাড়িতে আসেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে তিনি ঢাকা ফেরত ভাতিজাদের ঘর থেকে বের না হতে নির্দেশনা দেন। এ নিয়ে ভাই ও ভাতিজাদের সাথে কথা কাটাকাটি হলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি ও রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তাকে হত্যা করে। তিনি স্বামী হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।
অভিযুক্ত বড় ভাই দুলাল বলেন, বাড়ির জায়গা নিয়ে তার ভাইয়ের সাথে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির হয়। উভয়পক্ষের মারামারিতে সে যে মারা যাবে তা কখনো ভাবিনি।
নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে ভাই ও ভাতিজারা মিলে হোসেন মিয়াকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। একপর্যায়ে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, নিহতের বড় ভাই দুলাল, তার স্ত্রী কাজল বেগম, ছেলে সহিদ, আরমান, জালালের স্ত্রী রেহেনা বেগম ও ছেলে ফারুক। বাদীর অভিযোগের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল