নোয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি। মঙ্গলবার সকালে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি জাতীয় ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য ও নোয়াখালী জেলা ইউনিটের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন জানান, সংস্থার পক্ষ থেকে আপদকালীন সময়ের জন্য সাড়ে নগদ তিন সাড়ে লক্ষ টাকা, একটন চিড়া, মুড়ি, দুইশ কেজি গুড়, পাঁচ হাজার বোতল বিশুদ্ধ পানি ও ১০ হাজার পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ১০টি পিকআপ এবং শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্চাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূলীয় এলাকা সমূহে পর্যাপ্ত সংখ্যক ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, শুকনো খাবার ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস জানান, জেলার উপকূলীয় পাঁচ উপজেলা সদর, সুবর্ণচর, হাতিয়া, কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাটে ৪৬০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে সাড়ে তিন লক্ষ লোক আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়া করোনাভাইরাস আক্রান্তদেরকে নিকটবর্তী আইসোলেশন সেন্টারে এবং লকডাউনকৃত বাড়ির লোকজনকে আশ্রয়নকেন্দ্রে আলাদা কক্ষে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া গবাদি পশুর জন্য মাটির কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগকালীন সময়ের জন্য পর্যন্ত শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য ও জিআর মজুদ রাখা হয়েছে।
জরুরী চিকিৎসা সেবার জন্য মেডিকেল টিম, যানবাহন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রস্তুত রাখা হয়েছে সিপিপির ৬ হাজার ৭০০ স্বেচ্ছাসেবক।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, হাতিয়ায় ১৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৮০ হাজার লোক রাখা যাবে। এর পাশাপাশি জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য সরকারি বেসরকারি স্থাপনাসমূহ প্রস্তত রাখা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা