ঢাকার ধামরাইয়ে মাটি কাটা ও পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সূয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক এক মেম্বারের মধ্যে ব্যাপক মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের চারজন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করেছে। মঙ্গলবার সকালেও ওই এলাকায় থমথম অবস্থা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে, ধামরাইয়ের সূয়াপুর-ফোর্ডনগর সড়কের রৌহাটেক এলাকায় সড়কের পাশে মাটি কাটাকে কেন্দ্র সূয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের দুইবারের সাবেক মেম্বার মাটি ব্যবসায়ী তারু মিয়ার সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তারু মিয়াকে বেদম মারপিট করে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তারু মিয়াকে উদ্ধার করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তারু মিয়ার লোকজনও ব্যবসায়ী আব্বাস আলী, চৌকিদার শ্রীপদ সরকারকে মারপিট করে। এতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কয়েকবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ উভয়পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ থানায় অভিযোগ দিয়েছে।
সাবেক মেম্বার তারু মিয়া জানান, সুয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহরাবের কাছে ঋণ, মাটি ও ইটসরবরাহ বাবদ ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা পাব। এছাড়া আমি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছি। এতেও সে আমার প্রতি ক্ষিপ্ত। পরে আমার পাওনা টাকা চাইলে রাস্তার পাশে মাটি কাটার ঘটনা উল্লেখ করে চেয়ারম্যান নিজে ও তার লোকজন আমাকে বেদম মারপিট করে দুই পাসহ শরীরে নানা জায়গায় জখম করেছে। তিনি চেয়ারম্যানের বিচার দাবি করেন।
অভিযুক্ত সূয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহরাব জানান, তারু মিয়া আমার কাছে কোন টাকা পয়সা পাবে না। রাস্তার পাশে মাটি কেটে নেওয়ায় কথা তুলতেই তর্কে জড়িয়ে পড়ে তারু মিয়া। এ নিয়ে আমার লোকজন তারুকে মারপিট করেছে। আর তারু মিয়ার লোকজন আমার ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ শ্রীপদ সরকারকে একা পেয়ে বেদম পিটিয়েছে। সে বর্তমানে হাসপাতালে রয়েছে। এ ঘটনায় তিনি অভিযুক্তদের গ্রেফতার দাবি করেন।
ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা