রংপুরে পৃথক দুটি ঘটনায় দুইজন নারী খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। একটি নগরীতে অপরটি মিঠাপুকুর উপজেলায়। পুলিশ এজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। মঙ্গলবার সকালে নগরীর মুলাটোল হকের গলি এলাকার নিজ বাড়ি থেকে মিনু বেওয়া (৬৫) নামে এক বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত মিনু জেলা প্রশাসকের কার্যালযয়ে অডিট অফিসার হিসেবে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। অপরদিকে মিঠাপুকুরে জমি নিয়ে বিরোধে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত নারীর মৃত্যু হয়েছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাতে ওই নারী মারা যান। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন নিহতের স্বামী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিনু বেওয়ার স্বামী অনেক আগে মারা গেছেন। মেয়ের বিয়ের পর থেকেই ওই বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে একা বসবাস করছিলেন মিনু। মঙ্গলবার সকালে প্রতিদিনের মত গৃহপরিচারিকা বাড়িতে এসে দরজা খোলা অবস্থায় ভেতরে ওই বৃদ্ধার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহপরিচারিকাকে থানায় নিয়ে যায়।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) শহিদুলাহ কাওছার বলেন, সোমবার রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে তাকে হত্যার পর পালিয়ে যায়। বাড়ির স্টিলের আলমারি ভাঙা ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যার পর টাকা পয়সা লুট করা হয়েছে। ওই বৃদ্ধার পিঠে জঘমের চিহ্ন রয়েছে।
এদিকে মিঠাপুকুর উপজেলার ময়েনপুর ইউনিয়নের ময়েনপুর পূর্বপাড়া গ্রামে জমি নিয়ে আনোয়ার হোসেনের সাথে সারেজুল ইসলাম ও ইলিয়াস আলীর মধ্যে বিরোধের জের ধরে রোববার বিকেলে বিরোধপূর্ণ জমিতে একটি গাছ কাটতে যান আনোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী শাহীনুর। এসময় সারেজুল ইসলাম ও তার লোকজন বাধা দেন। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে দুই পক্ষের নারী ও শিশুসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় সারেজুলের স্ত্রী পিয়ারী বেগমকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাতে ওই নারী মারা যান।
মিঠাপুকুর থানার ওসি জাফর আলী বিশ্বাস জানান , এ ঘটনায় নিহতের স্বামী একটি মামলা করেছেন। আসামীরা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে, গ্রেপ্তারে জোরালো অভিযান চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার