ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় নদী বেষ্টিত উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠিতে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই সতর্ক থাকার আহ্বান জেলা প্রসাশক মো. জোহর আলীর।
সভায় জানানো হয়, ইতোমধ্যে জেলার ২৭৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সুগন্ধা ও বিষখালী নদী তীরের মানুষকে আবহাওয়ার সংকেত অনুযায়ী নিরাপদে সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেওয়ার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় পর্যাপ্ত খাদ্যসামগ্রী মজুদ রাখা হয়েছে। বর্তমানে করোনাকালের ত্রাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে, প্রয়োজনে ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম আরো বাড়ানো হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরিফুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার মো. শাহ আলমসহ প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা, স্কাউটস ও রেডক্রিসেন্ট সদস্যরা।
দুপুরে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ট্রলার নিয়ে সতর্কতামূলক মাইকিং করেছে ঝালকাঠি জেলা রোভার স্কাউটস সদস্যরা।
এদিকে, ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার বেড়িবাঁধটি হুমকির মুখে রয়েছে। বেড়িবাঁধের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে, ঘূর্ণিঝড়ে শহরে হুহু করে পানি ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ উপজেলার আমুয়া বাজার, লঞ্চঘাটসহ বিভিন্ন স্থানের বেড়িবাঁধ ভাঙা অবস্থায় রয়েছে।
ঝালকাঠির সাধারণ মানুষের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ নিয়ে তেমন সচেতনতা দেখা যাচ্ছে না। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাইক্লোন শেল্টারে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে, কিন্তু সাধারণ মানুষ এখন পর্যন্ত সাইক্লোন শেল্টারে যাওয়া শুরু করেনি।
বর্তমানে ঝালকাঠির আবহাওয়া মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। তবে মাঝে মাঝে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে এবং থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন