দৈনিক মজুরীর কাজ করে সংসার চালান যেসব মানুষ তাদের কাছে ভোটার আইডি কার্ড কোন মূল্যবান বস্তু নয়। টাকা আয় করা ও তিন বেলা খাদ্যের ব্যবস্থা করা যাদের একমাত্র উদ্দেশ্য, তাদের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র জরুরী কিছু নয়।
অসহায়, ভাসমান গরীব ও দুস্থ সাধারণ মানুষ করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়েছে। কর্মহীন অসহায় এসব মানুষ এখন ত্রাণ সংগ্রহ করতে বা কোন প্রকার সহযোগীতা গ্রহণের জন্য যে ভোটার আইডি কার্ড/জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে পারছেন না। ফলে ভোটার আইডি কার্ড এখন অসহায় মানুষের সাহায্য গ্রহণের পথে একমাত্র বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শহরের পূর্ব গোয়াল পাড়ার অনিতা সেন বলেন, আমার স্বামী ভ্যান চালায়। বর্তমান লকডাউন থাকার কারণে আয় রোজগার নাই বললেই চলে। খুব কষ্টে দিন পার করছি। এখানকার মেম্বারের কাছে গেলে মেম্বার বলে তোমরা এ এলাকার ভোটার না। আবার আমার এলাকায় গেলে সেখানকার চেয়ারম্যান আমাদের জানান, যেখানে আছো সেখানেই স্থানীয়ভাবে ত্রাণ পাবে। তাহলে আমরা কিভাবে চলবো।
টিকিয়া পাড়ায় বসাবাসরত হোটেল শ্রমিক হাফিজুল বলেন, আমি স্থানীয় এক চা হোটেলে কাজ করতাম কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আয় রোজগার নেই। আমার ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করা হয় নাই। মেম্বারের কাছে গেলে তিনি ভোটার আইডি ছাড়া কোন প্রকার সহযোগীতা করতে পারবেন না বলে জানান।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর নুর ইসলাম নুরু জানান, আমি যা বরাদ্দ পেয়েছি তা স্থানীয় অসহায় মানুষের তুলনায় অনেক কম। তাই স্থানীয় ভোটার আইডি কার্ড যাদের রয়েছে তাদেরকেই ত্রাণ প্রদান করছি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল