বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বলেছেন, করোনার দুর্যোগের মাঝেও ধানের ন্যায্য মূল্য পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। বাম্পার ফলনের পরও এবার তাদের কম দামে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে না। বিভিন্ন দুর্যোগ-মহামারী পরবর্তী সময় বিশ্বে খাদ্য সংকট, দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। করোনার এই দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে যেন দেশে কোন দুর্ভিক্ষ বা খাদ্য ঘাটতি না হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রী নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। এজন্য এবার ব্যাপক পরিমানে ধান-চাল সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেই সাথে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে এক ইঞ্চি জায়গাও পতিত রাখা যাবে না।
মঙ্গলবার দুপুরে জামালপুরের মেলান্দহে বোরো সংগ্রহ অভিযান কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মেলান্দহ খাদ্য গুদাম প্রাঙ্গনে বোরো সংগ্রহ অভিযান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামীম আল ইয়ামিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় বোরো সংগ্রহ অভিযানে ৪ হাজার ৪৫৬ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, ২৭৮ মেট্রিক টন আতপ চাল, ৩ হাজার ৬৫১ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে খাদ্য বিভাগ। মেলান্দহের মোট ৭১ জন ডিলারের কাছ থেকে এসব চাল সংগ্রহ করা হবে। এ বছর সরকার সিদ্ধ চাল ৩৬ টাকা, আতপ চাল ৩৫ টাকা ও ২৬ টাকা কেজি দরে ধান সংগ্রহ করছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল