ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে সুন্দরবন সংলগ্ন কপোতাক্ষ, খোলপেটুয়া, মরিচপাচ সহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। সকাল থেকে হালকা দমকা হওয়ার সাথে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।
শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ও গাবুরা, মুন্সিগঞ্জ ও আশাশুনি উপজেলার গয়ারঘাট, হাজরাকাটি, কুড়িকাউনিয়া, মনিপুরি ও বিছট এলাকার বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ফাটল দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে ১৪৭টি সাইক্লোন সেল্টার ও ১৬’শ ৯৮টি স্কুল কলেজসহ আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ১৩ হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধার তৎপরতায় ১২ হাজার সেচ্ছাসেবকের পাশাপাশি ১০৩ জনের মেডিকেল টিম নিয়োজিত রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ২৫০ মেট্রিক টন চাউল ও নগদ ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জানান, ঘূর্ণিঝড়টি প্রতি ঘণ্টায় ২২৫-২৪৫ কিলোমিটারের গতিবেগে বাংলাদেশের উপকূলে ধেয়ে আসছে। সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড়টি। তখন গতিবেগ থাকবে প্রতি ঘন্টায় ১৪০-১৬০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে উপকূলে ৫-১০ ফিট উচ্চতার জলোচ্ছাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে সাতক্ষীরা অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা উপকূলে প্রথমে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ