বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে মেঘনা উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরে গতকাল সন্ধ্যা থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বুধবার সকাল থেকে নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং চলতে দেখা গেছে। ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হচ্ছে এ জেলায়। তবে ঘর বাড়ি, গবাদি পশু ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে চাইছেনা নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। আশ্রয় কেন্দ্রে শিশুসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তারা বিড়ম্বনায় পড়তে চাননা বলে জানান কেউ কেউ।
এদিকে মাছ ধরার কিছু ট্রলার ও নৌকা তীরে ভিড়লেও বেশির ভাগ জেলেরা এখনো নদীতে মাছ ধরতে দেখা গেছে। নদীর সাথে সংগ্রাম করে বেড়ে উঠায় এখন আর তাদের মাঝে ঝড়-জলোচ্ছাসের ভয় নেই বলে জানান স্থানীয়রা। আবার কেউ কেউ বলছেন চরাঞ্চলে নারী-শিশুসহ হাজার হাজার মানুষ বাস করছেন। স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যান ও প্রশাসন চাইলে তাদেরও আশ্রয়ে আনা সম্ভব।
এদিকে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় সকল ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল। জেলায় ২৫২টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুতসহ ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে ১০ হাজার লোককে সরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়া ৬৬টি মেডিকেল টিম গঠন, রেড ক্রিসেন্ট ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রাখাসহ ২০০০ প্যাকেট শুকনো খাবার, ২ লাখ নগদ অর্থ, শিশু ও গো খাদ্যের জন্য ১ লাখ টাকা করে দুই লাখ টাকা ও ১০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ রাখা হয়েছে বলে জানান ডিসি।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন