চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মোবাইল ফোন প্রতীকের অফিস ভাঙচুরসহ সমর্থকদের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সামিউল হক লিটন। সোমবার দুপুরে শহরের একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, শুধমাত্র মোবাইল ফোন প্রতীকের ভোট করার জন্য গত ২ নভেম্বর রাতে তার দুই সমর্থক সোহেল ও রিপনকে বটতলাহাট এলাকায় এবং গত ১২ নভেম্বর রাতে শহরের বিশ্বরোড মোড়ে মিলন নামে এক কর্মীকে এবং গত ১৯ নভেম্বর রাতে দুলাল ও দিদার নামে দু’জনকে মারধর করা হয়। এছাড়া ২০ ও ২১ নভেম্বর রাতে ৪টি নির্বাচনী অফিসসহ মোট ১৩টি অফিস ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগ করা হয়। এজন্য তিনি শহরের কয়েকজন চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে দায়ী করলেও তাদের নাম পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি।
এসব কর্মকান্ডের জন্য তিনি লিখিতভাবে নির্বাচন অফিসকে জানিয়েছেন এবং নির্বাচন অফিসকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান তিনি।
এদিকে বিরোধী পক্ষের অফিস ভাঙচুর ও মারধর প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য মো. আব্দুল ওদুদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অতীতে কোনো নির্বাচনে কোনরকম বিশৃংখলা করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না। আর আওয়ামী লীগ এতই দেওলিয়া হয়ে যায়নি যে, অপর পক্ষের অফিসে হামলা চালাবে এবং প্রতিপক্ষকে মারধর করবে। তবে এটা নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে একটি পক্ষ সাধারণ মানুষের সহানুভূতি নেয়ার চেষ্টা করছে বলে দাবি করেন তিনি।
উল্লেখ্য, আগামী ৩০ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থীসহ আ.লীগ বিদ্রোহী, বিএনপি ও জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ৪জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল