রাজবাড়ীর একটি দুগ্ধ খামারে প্রায় দুই মণ ওজনের একটি ষাঁড় বাছুরের জন্ম হয়েছে। জন্ম নেওয়া বিশাল আকারের এই বাছুরটি হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের বলে জানিয়েছেন খামারি। এত বড় আকারের ষাঁড় বাছুর দেখে খুশি খামার মালিক ও শ্রমিকরা। এদিকে, এ খবর ছড়িয়ে পড়ার কারণে বাছুরটিকে দেখতে ভিড় করছেন জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থী ও খামারিরা।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে জেলার সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের এপিসোড অ্যাগ্রো লিমিটেড খামারের ফ্রিজিয়ান জাতের গাভির গর্ভ থেকে জন্ম নেয় সাদা রংয়ের এই বাছুরটি। বিশাল আকারের এত বড় বাছুরের জন্ম নিতে সহায়তা করেন ১৫ জন শ্রমিক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে খামারে গিয়ে দেখা যায়, সাদা রংয়ের বাছুরটির কান দুটিতে হালকা কালো রংয়ের ছাপ। সদ্য জন্ম নেওয়া বাছুরটি রোদে দাঁড়িয়ে থাকা মায়ের দুধ পান করছে।
খামারের শ্রমিক মো. সাহেব আলী সরদার বলেন, আমাদের খামারে কয়েকশত গাভি রয়েছে। এর মধ্যে ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গাভি বিশাল আকারের এই বাছুরটি জন্ম দিয়েছে। গত বুধবার সকালে খামার থেকে গাভিটি চিৎকার শুরু করে। আমরা বুঝতে পারি যে গাভি থেকে বাছুরের জন্ম হবে। তখন আমরা ১৫ জন শ্রমিক আধাঘণ্টা চেষ্টার পর বাছুরের জন্ম দেয়। সুন্দর এই ষাঁড় বাছুর পেয়ে আমরা অনেক আনন্দিত।
আরেক শ্রমিক সাত্তার মণ্ডল বলেন, আমি অনেক দিন ধরে এই খামারে কাজ করি। সাধারণত এই খামারে যে সকল বাছুর জন্ম নিয়েছে তার ওজন ৪০/৫০ কেজি। কিন্তু সম্প্রতি যে সাদা রংয়ের বাছুরের জন্ম হয়েছে, তার ওজন ৮৪ কেজি। বাছুরটি প্রতিদিন ৮-১০ লিটার দুধ খাচ্ছে।
দুগ্ধ খামারের পরিচালক মিজানুর রহমান শাহিনুর বলেন, এপিসোড অ্যাগ্রা লিমিটেড খামারে বর্তমানে ২০০ গরু লালন-পালন করা হচ্ছে। এর মধ্যে দেড় শতাধিক উন্নত জাতের বিভিন্ন গরু রয়েছে। ফ্রিজিয়ান গাভি থেকে প্রায় ৯০ কেজি ওজনের একটি ষাঁড় বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটি সুস্থ রয়েছে।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. খায়ের উদ্দীন আহমেদ বলেন, আমাদের দপ্তরের সরকারি প্রজনন ব্যবস্থা থেকে এই ষাঁড় বাছুরটির জন্ম হয়েছে। বাছুরটি বর্তমানে সুস্থ আছে। বাছুরটির প্রতি খামারির পাশাপাশি আমাদের পর্যবেক্ষণ থাকবে। এটি প্রাণি সম্পদ দপ্তরের জন্য সুখবর।
বিডি প্রতিদিন/এমআই