রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই হিসেব চলছে আওয়ামী লীগে ও জাতীয় পার্টিতে। ২৭ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অন্যান্য প্রার্থীদের মাথায় রেখে আওয়ামী লীগ,জাতীয় পার্টি জটিল সমীকরণে নেমেছে। ভোটের হিসেবের চুলচেলা বিশ্লেষন করছে তারা।
সরেজমিনে বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে জানা গেছে, এবার বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করায় ভোটের আলোচনায় জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ঘিরে। জাতীয় পার্টি তাদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বি ভাবছেন আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কাকে। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগ তাদের প্রতিদ্বন্দ্বি জাপাকে মাথায় রেখে নির্বাচনি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। দুই দলই নতুন প্রজন্ম, বিএনপি, জামায়াত, সংখ্যালঘু ও অবাঙ্গালি ভোটারকে তাদের পক্ষে নেয়ার চেষ্টা করছেন। তরুণদের ভোট টানতে নৌকা ও লাঙ্গল মার্কার প্রার্থীরা গ্রহণ করেছেন নানা উদ্যোগ। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরছেন।
নৌকা মার্কা প্রার্থী সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমটি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়ার পক্ষে আওয়ামী লীগ নেতার মনে করছেন গত নির্বাচনের ভুলত্রুটি সংশোধন করে সবাই এক হয়ে কাজ করলে বিজয় সুনিশ্চত।
অপরদিকে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা মনে করছেন, রংপুর লাঙ্গলের ঘাটি। এখানে অন্য কোন দলের প্রার্থী সুবিধা করতে পারবে না তার প্রমাণ বিগত সিটি নির্বাচন। ওই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তাফা এক লাখের বেশি ভোটে বিজয়ী হয়েছিলেন। এবারও তারা বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয় হবেন বলে মনে করছেন। জাপা ইত্যোমধ্যে নির্বাচন পরিচালানা কমিটি গঠন করেছে।
তবে জাপার প্রার্থী সদ্য সাবেক হওয়া মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, নির্বাচনে সব দলই শক্তিশালি এখানে কাউকে ছোট করে দেখার সুয়োগ নেই।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তিমন্ডল জানান, সিটি করপোরেশনের উন্নয়নের স্বার্থে এবার ভোটাররা আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কা প্রার্থীকে ভোট দিবেন।
নির্বাচনে ১০ জন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী ছাড়াও যারা নির্বাচনি মাঠে রয়েছেন তারা হলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রংপুর মহানগর সভাপতি আমিরুজ্জামান পিয়াল, মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা ডেইরী ফার্মাস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লতিফুর রহমান মিলন, জাকের পার্টির নেতা খোরশেদ আলম, ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান বনি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আতাউর জামান বাবু, জাসদের মোঃ সফিয়ার রহমান, স্বতন্ত্র মোঃ আবু রায়হান, খেলাফত মজলিসের মোঃ তৈহিদুর রহমান মন্ডল।
নির্বাচনে মেয়র পদে ১০ জনসহ মোট ২৪১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ