বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঐতিহাসিক মসজিদ

ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় ইয়ায্দ শহরের ঐতিহাসিক ইয়ায্দ জামে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে ৯০০ বছরেরও বেশি সময় আগে। মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু করে এটি সম্পূর্ণ শেষ করতে প্রায় একশ বছর সময় লেগেছিল। মসজিদের একেকটি অংশ এক এক ধাপে নির্মাণ করা হয় এবং আলাদা আলাদা স্থাপত্যশিল্পী এ কাজ সম্পন্ন করেন বলে এত দীর্ঘ সময় ধরে এই নির্মাণকাজ চলে। ধারণা করা হয়, এই বিশাল মসজিদটি নির্মাণের কাজ প্রথম শুরু করেন ইরানের সাফফারি রাজবংশের দ্বিতীয় শাসক আমর ইবনে আল-লাইস। তবে পরবর্তীতে আলে-বুইয়ে রাজবংশের অন্যতম শাসক আলাউদ্দৌলা কালানজারকে এই মসজিদের প্রধান নির্মাতা বলে মনে করা হয়। আলাউদ্দৌলা কালানজার ফার্সি ৪৭৪ থেকে ৪৯৮ সাল পর্যন্ত সময়ে ইয়ায্দের শাসক ছিলেন। ফার্সি ৭২৪ সালে প্রাকৃতিক দুর্যোগে মসজিদটির ভবন ধসে পড়লে সাইয়্যেদ রোকনউদ্দিন নামের এক সমাজসেবী বর্তমান মসজিদটি স্থাপন করেন। তারপর থেকে এ পর্যন্ত বহুবার এই ঐতিহাসিক স্থাপনার বিভিন্ন অংশের মেরামত ও পুনর্নির্মাণের কাজ হলেও আর কখনো নতুন করে এটি নির্মিত হয়নি। কয়েক দশক আগ পর্যন্ত মসজিদটির পুনর্র্নির্মাণের কাজ অব্যাহত ছিল। ইয়ায্দ জামে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল তৎকালীন ইয়ায্দ শহরের কেন্দ্রস্থলে এবং শহর রক্ষা প্রাচীরের ভিতরে। ৯ হাজার ৮০০ বর্গমিটার  জায়গার ওপর এটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। এই মসজিদের দৈর্ঘ্য ১০৪ মিটার এবং প্রস্থ ৯৯ মিটার। আশপাশের বিভিন্ন সড়ক ও গলি দিয়ে মসজিদে প্রবেশের জন্য এটিতে রয়েছে বিভিন্নমুখী সাতটি প্রবেশ পথ। ইয়ায্্দ জামে মসজিদে রয়েছে বিশাল উঁচু ছাদবিশিষ্ট একটি হলরুম, দুটি বড় বারান্দা, বারান্দাগুলোর পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে পানি গরম করার দুটি কক্ষ, একটি বড় আকারের গম্বুজ এবং নামাজ আদায়ের বিশাল কক্ষ। মসজিদের মূল প্রবেশদ্বারটি হচ্ছে ইয়ায্দ জামে মসজিদের আকর্ষণীয় অংশগুলোর অন্যতম। ২৪ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট এই প্রবেশদ্বারে এতটা অনিন্দ্যসুন্দর কারুকাজ করা হয়েছে যে, চোখে না দেখলে এর সৌন্দর্য বর্ণনা করা প্রায় অসম্ভব।

মুন্সি জামিলউদ্দিন

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর