শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২২

গৌরবের সশস্ত্র বাহিনী দিবস

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
গৌরবের সশস্ত্র বাহিনী দিবস

মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে এখন বড় বেশি তোলপাড়। কেন যেন পদে পদে আন্তরিকতার অভাব। বহু দেশের জন্ম আগে, সশস্ত্র বাহিনীর জন্ম পরে। সেসব দেশের সৃষ্টিতে সশস্ত্র বাহিনীর কোনো ভূমিকা থাকে না। ভূমিকা থাকে বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশ রক্ষা করার। কিন্তু আমাদের সশস্ত্র বাহিনী তেমন নয়। আমাদের দেশও তেমন নয়। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ আলাপ-আলোচনা, বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে অধীনতামুক্ত হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ একটি সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয়েছে। সাধারণ মানুষ যারা অস্ত্রপাতির কিছুই জানত না তারাই পৃথিবীর একটি উন্নত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অস্ত্রশস্ত্রে বলীয়ান পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে শুধু ইমানের জোর আর রক্ত ঢেলে মুক্ত স্বাধীন হয়েছে। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে পাকিস্তানের ট্রেনিংপ্রাপ্ত সামান্য কিছু যোদ্ধা ছিল। সেনা-নৌ-বিমান সব বিভাগেই ছিল। নৌবাহিনীতে পাকিস্তানি ট্রেনিংপ্রাপ্ত এক-দেড় শ, বিমানবাহিনীতে এক শ বা তার নিচে, সেনাবাহিনীতে কয়েক হাজার। পাকিস্তানি ট্রেনিংপ্রাপ্ত সেনাদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসই নতুন নতুন যোদ্ধা তৈরি করা হয়। নতুন যোদ্ধা তৈরি করে প্রথমে ‘জেড’ ফোর্স, তারপর ‘এস’ ফোর্স, সবশেষে ‘কে’ ফোর্স নামে তিনটি ব্রিগেড সৃষ্টি করা হয়েছিল। জিয়া, শফিউল্লাহ ও খালেদ মোশারফের নামে তিনটি ব্রিগেড গঠিত হয়। এ ব্রিগেডগুলো সীমান্ত এলাকায় যতটা সম্ভব লড়াই করেছে। সীমান্তে ভীষণ তৎপর থাকায় আমরা যারা ভিতরে ছিলাম অস্ত্রবল ছিল খুবই কম তারা অনেকটাই সুবিধা পেয়েছি। সীমান্ত এলাকায় ব্যস্ত থাকায় পাকিস্তানি হানাদাররা আমাদের ওপর যতটা নজর দেওয়া উচিত তততা পারেনি। কারণ বিপুল পরিমাণ সেনা, অস্ত্রশস্ত্র সীমান্তে মজুদ রাখতে হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে আমাদের ওপর দু-চার বার প্রবল আক্রমণের চেষ্টা করেছে। আগস্টে প্রায় দুই ব্রিগেড সেনা নিয়ে আমাদের কাবু করার চেষ্টা করেছিল। হানাদারদের সে চেষ্টা সফল হয়নি। সে সময় আমরা পাকিস্তানিদের অস্ত্রবোঝাই জাহাজ দখল করেছিলাম। পাহাড়ের সখিপুর দখল নিতে গিয়ে প্রায় এক ব্যাটালিয়ান সেনা অকেজো হয়ে পড়েছিল। শতাধিক নিহত, চার-পাঁচ শ আহত হয়েছিল। বলতে গেলে একটি ব্যাটালিয়ান সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস বা অকেজো হয়ে পড়েছিল। পশ্চিমে টাঙ্গাইল, পুবে ভালুকা-ত্রিশাল-শ্রীপুর থেকে হানাদার পাকিস্তানিরা যে অভিযান শুরু করেছিল কোনো কিছুতেই তারা তেমন সুবিধা করতে পারেনি। আগস্টের ১৬ তারিখ ধলাপাড়া মাকরাইয়ে আমার হাতে-পায়ে গুলি না লাগলে কেমন কী হতো বলতে পারি না। তবে গুলি লাগায় অচল হয়ে পড়ার একটা সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় তাড়াহুড়া করে প্রায় দেড় শ মাইল হেঁটে ভারত সীমান্তে বারাঙ্গাপাড়া, ওপাশে মানকারচর, অন্যদিকে জিয়াউর রহমানের জেড ফোর্সের হেডকোয়ার্টার তেলঢালা ছোটাছুটি করে এবং ভালো চিকিৎসা পাওয়ায় ১০-১৫ দিনের মধ্যেই হাত-পায়ের ক্ষত সেরে গিয়েছিল। চিকিৎসার সময় পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লে. জেনারেল অরোরা, মেজর জেনারেল গিল, মেজর জেনারেল ওভানসহ আরও বেশকিছু ভারতীয় উচ্চপদস্থ যুদ্ধবিশারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল। যেটা পরবর্তীকালে কাদেরিয়া বাহিনীর জন্য আল্লাহর আশীর্বাদ হিসেবে প্রতিফলিত হয়। মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা তৈরিতে তুরার সাতমাইলে রওশন আরা ক্যাম্পে সবচাইতে বেশি মুক্তিযোদ্ধাকে ট্রেনিং দেওয়া হয়। এদের অনেকেই ঢাকা দখলের অভিযানে অংশ নিয়েছিল। ভারতীয় বাহিনীর বা মিত্রবাহিনীর সরাসরি ঢাকা দখলের পরিকল্পনা ছিল না। যুদ্ধবিশারদদের অনেকের ধারণা ছিল বিপুলসংখ্যক পাকিস্তানি সৈন্যের কারণে সরাসরি ঢাকা দখল খুব একটা সহজ হবে না। চার-পাঁচ শ বছরের পুরনো ঢাকা শহর দখল করতে হলে ব্যাপক গোলাগুলির আশ্রয় নিতে হবে। অত শক্তিশালী আর্টিলারি এবং আকাশ থেকে বিপুল পরিমাণ বোম্বিং করা হলে ঢাকা ধ্বংস হয়ে যাবে। ঢাকা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ভারতীয় বাহিনী একটি প্রাচীন শহর ধ্বংসের দায়ে অভিযুক্ত হতে পারে। অন্যদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে যে কবার যুদ্ধবিগ্রহ হয়েছে ভারত তেমন সুবিধা করতে পারেনি। তাই পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে পরাজিত করা যাবে এতে অনেকটাই সন্দেহ ছিল। তার পরও যদি সম্ভব হয় তাহলে আগরতলার দিক থেকে যারা এগিয়ে যাবে তারাই ঢাকা শহরের দখল নেবে। কিন্তু আমাদের দিকের ভারতীয় বাহিনী ছিল একেবারে নড়বড়ে। চীন সীমান্ত থেকে এক ডিভিশন সেনা নিয়ে উত্তরে তুরার দিক থেকে মিত্রবাহিনীর নেমে আসার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চীন সীমান্ত থেকে ভারতীয় বাহিনীকে তুলে আনা সম্ভব হয়নি। ভারতীয় যুদ্ধবিশারদদের ধারণা, যেহেতু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বছর চীন সীমান্তে একেবারেই কম বরফ পড়েছে তাই ভারতীয় বাহিনী সীমান্ত থেকে তুলে নিলে চীন গোলমাল করতে পারে। তাই একেবারে শেষ পর্যায়ে নানা দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কিছু সেনা নিয়ে একটা ব্রিগেডের মতো গঠন করে কয়েক হাজার মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে ব্রিগেডিয়ার সানসিংয়ের কলাম গঠন করা হয়েছিল। অন্যদিকে শেরপুর-জামালপুরেও ব্রিগেডিয়ার ক্লেরের ব্রিগেড পরিপূর্ণ ছিল না। তারা ভারত সীমান্তে কামালপুরের ঘাঁটি উচ্ছেদ করতে পারেনি। কামালপুর পাশ কাটিয়ে শেরপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে আসতে মাইনের আঘাতে জেনারেল গিল দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। তাঁর দুই পা অকেজো হয়ে যায়। তিনি আর ঢাকা দখলে অংশ নিতে পারেননি। দিনটি ছিল ৪ বা ৫ ডিসেম্বর। জেনারেল গিলের জায়গায় নতুন এক জেনারেলকে দেওয়া হয়। তাঁর নাম নাগরা। বাংলাদেশের কিছুই তিনি জানতেন না। জেনারেল গিল তবু পাঁচ-ছয় মাসে বাংলাদেশের বিষয় জানতেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং দিতে গিয়ে অনেক কিছুর খোঁজখবর নিয়েছিলেন। কিন্তু নাগরা তেমন ছিলেন না। তার পরও তিনি যে দক্ষতার সঙ্গে একদিকে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট অন্যদিকে জামালপুরের কামালপুর-বকশিগঞ্জ-শেরপুর হয়ে ক্লেরের ব্রিগেড শেরপুর ঘাটে এসে জামালপুরের হানাদারদের বাধার সম্মুখীন হন। তখন ভারতীয় বিমানবাহিনী জামালপুর হানাদার ঘাঁটিতে হাজার পাউন্ডের বোমা ফেলে। হাজার পাউন্ডের বোমা জামালপুর ছাড়া আর একমাত্র ঢাকা ক্যান্টমেন্টে ফেলেছিল। এতে হানাদারদের বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়। অন্যদিকে কাদেরিয়া বাহিনীর তোলপাড় করা কর্মকান্ডে পাকিস্তানি হানাদাররা একেবারে বেকুব হয়ে গিয়েছিল। ২০-২১ নভেম্বর ঢাকা-টাঙ্গাইল, টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল-জামালপুর, টাঙ্গাইল নাগরপুর, পোড়াবাড়ী, টাঙ্গাইল-ভূঞাপুর এসব রাস্তার ৪২টি সেতু একেবারে তছনছ করে দেয়। সেজন্য ভারতীয় বাহিনীকে হালুয়াঘাট, জামালপুর থেকে ঢাকার কালিয়াকৈর এবং সাভার পর্যন্ত আসতে তেমন কোনো লড়াই করতে হয়নি। একজন ভারতীয় সেনার পায়ে কাটাও ফোটেনি। উত্তর দিক থেকে এগিয়ে আসা কলামের ঢাকা দখলের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তবু আমরা সকাল ৮টার মধ্যে ঢাকা-আরিচার রাস্তার হেমায়েতপুর পর্যন্ত এগিয়ে এসেছিলাম। ওখান থেকে পাকিস্তানি হানাদার জেনারেল নিয়াজিকে ছোট্ট একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল-

‘নিয়াজি,

আমরা তোমাকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেছি। তোমার খেল খতম। যদি ভালো চাও তাহলে আত্মসমর্পণ কর। আত্মসমর্পণ করলে জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী আচরণ করা হবে। বিশেষ করে তোমার এবং তোমার বাহিনীর লোকদের জীবনের নিরাপত্তা দেওয়া হবে।’

নিয়াজি আমাদের চিঠির অর্থ বুঝেছিলেন। সকাল ৯টা-সাড়ে ৯টায় জেনারেল জামশেদের মাধ্যমে আমিনবাজারে এবং বিকাল ৫টা কয়েক মিনিটে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পন করে। সেদিন ঢাকার সব মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছিল। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবং তেজগাঁও পুরান বিমানবন্দর থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে লাখো মানুষ সমবেত হয়েছিল। সে ছিল আমাদের জন্য এক শ্রেষ্ঠ গৌরব।

মুক্তিযুদ্ধে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল শহীদ সালাহউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট একটা বিশাল ব্যাপার। টাঙ্গাইল মুক্তিযুদ্ধের প্রাণকেন্দ্র ঝড়কার পাশে শহীদ সালাহউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট বা সেনাশিবির। তাদের অন্তত টাঙ্গাইলের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে একটা ভালো ধারণা থাকা উচিত। কিন্তু সেনা দিবসে ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্টে গিয়ে তেমন ধারণা তাদের আছে বলে মনে হলো না। সেনা দিবসের কয়েকদিন আগে টাঙ্গাইলে দাওয়াত পেয়েছিলাম। শরীর অত ভালো না। তাই যাব কি যাব না দ্বন্দ্বে ছিলাম। সেনা দিবসের দু-তিন দিন আগে আবার এক বীর সিপাহি টাঙ্গাইলে আসে হাতে ব্যাগ নিয়ে। ব্যাগভর্তি উপহার। খুলে দেখি একটি চাদর, একটি শাড়ি, শার্ট-প্যান্ট পিস ও একটি খাকি ইনভেলাপে ১৫০০ টাকা। টাকাটা দেখে চমকে উঠেছিলাম। বেঁচে আছি তাই সেনা দিবসে ১৫০০ টাকা উপহার। ভাবছিলাম অন্যদেরও কি এরকম ১৫০০ টাকা দেওয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানলাম বীরপ্রতীক, বীরবিক্রম, বীরউত্তম সবাইকে ১৫০০। জানি না বীরশ্রেষ্ঠের পরিবার-পরিজনকেও ১৫০০ টাকা দেওয়া হয়েছে কি না। সবাই এক। এর যেমন একটা ভালো দিক আছে তেমন খারাপ দিকও আছে। অনুষ্ঠানে কেক কাটা হয়েছিল। মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী এবং নলুয়া এয়ার কমডোর মো. রেজা এমদাদ খানের সঙ্গে আমাকে এবং কাদেরিয়া বাহিনীর আবুল কালাম আজাদ বীরবিক্রমকে কেক কাটতে ডাকা হয়েছিল। সেখানেও বিপত্তি। খুবই দরাজ গলায় এক মহিলা ঘোষণা করলেন, ‘বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরবিক্রম, আবুল কালাম আজাদ বীরবিক্রম, জিওসি মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী এবং নলুয়া এয়ার কমডোর মো. রেজা এমদাদ খান ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের কেক কাটবেন।’ কেক কাটতে গিয়েছিলাম। বেশ বড়সড়ো তলোয়ার দিয়ে কেক কেটেছি। ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্টে বেশকিছু শারীরিক কসরত দেখানো হয়েছে। কসরতগুলো বেশ ভালো। বিশেষ করে সামরিক বাদক দল নানারকমের বাজনা শুনিয়েছে। বেশ ভালো লেগেছে। তবে শহীদ সালাহউদ্দিন ঘাঁটিতে জিওসি মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী তাঁর বক্তৃতায় পরপর দুবার ‘পাক বাহিনী পাক বাহিনী’ বলেছেন। বড় বেশি খারাপ লেগেছে। কত রক্ত কত সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা। আর সেই স্বাধীন দেশের একজন জেনারেল যদি এখনো পাকিস্তানি হানাদারদের ‘পাক’ বলেন তাহলে মুক্তিযোদ্ধারা কি নাপাক? আল্লাহ পাক, রসুল পাক, কোরআন পাক তেমনি কি হানাদাররাও পাক? বড় কষ্ট লেগেছে শহীদ সালাহউদ্দিন ঘাঁটির সশস্ত্র দিবস অনুষ্ঠানে। শহীদ ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিনও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। কেন যেন উপহার নিয়ে মনটা বেশ খচখচ করছিল। সবাইকে একই উপহার এ কেমন কথা? পরে শুনলাম ঢাকায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী দিবসে যাদের আমন্ত্রণ করেছিলেন তাদের উপহারেও শাড়ি, চাদর, কাপড়, আধুনিক মোবাইল এবং প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়েছে। আমার দলের পাঁচ-ছয় জন দাওয়াত পেয়েছিলেন। তাদেরও ওই একই চেক দেওয়া হয়েছে। তবে যারা মারা গেছেন তাদের নিয়ে কী করা হয়েছে জানি না। আমার এক প্রিয় মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম বীরপ্রতীক, তার পরিবারের কী হয়েছে আল্লাহই জানেন। শহীদুল ইসলাম এতটা ছোট ছিল যে ২৪ জানুয়ারি, ১৯৭২ বিন্দুবাসিনী স্কুলমাঠে অস্ত্র জমা নেওয়ার সময় বঙ্গবন্ধু শহীদকে কোলে নিয়েছিলেন। সেই শহীদের পরিবারের কী খবর কিছুই জানি না। কয়েক বছর আগে শহীদ এ দুনিয়া থেকে চলে গেছে।

মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কখনো যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি, গুরুত্বও দেওয়া হয়নি। যখন যেমন তখন তেমন একটা খাপছাড়া ভাব। একসময় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতা চেয়েছিলাম ২ হাজার টাকা। এখন সেটা হয়েছে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ২০ হাজার। কিন্তু কোনো নিয়মশৃঙ্খলা নেই। কারও নামে কেউ অভিযোগ করলেই হলো, সবকিছু বন্ধ। মুক্তিযোদ্ধাকে অথবা মুক্তিযোদ্ধার উত্তরসূরিকে ছুটতে হবে দ্বারে দ্বারে। প্রায় পাঁচ বছর পর সেদিন মতিঝিলের স্বাধীনতা ভবনে কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি এস এম মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। ভদ্রলোকের কথাবার্তা আমার খুবই ভালো লেগেছে। ক্যাবিনেট সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে একটা সাক্ষাৎ ছিল। সেখান থেকে ফোন করেছিলাম কল্যাণ ট্রাস্টের এমডিকে। এমডি মাহবুবুর রহমান বলেছিলেন, ‘স্যার, আমাদের লিফট খারাপ। আপনার উঠতে-নামতে কষ্ট হবে। আমি নিচে আসছি।’ স্বাধীনতা ভবনের দরজায় নামতেই দেখি এমডি মাহবুবুর রহমান দাঁড়িয়ে। হাত ধরে কীভাবে যে টেনে হিঁচড়ে তাঁর পাঁচ তলার অফিসে নিয়ে গেলেন বুঝতেই পারলাম না। পাঁচ তলায় উঠতে সেদিন কোনো কষ্ট লাগেনি। গিয়েছিলাম টাঙ্গাইলের এক মহিলার দুর্দশা নিয়ে। মুক্তিযোদ্ধা স্বামী মারা গেছেন। স্বামীর সম্মানি স্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েক বছর সেই ভাতাও তুলেছেন। হঠাৎই মুক্তিযোদ্ধার ভাইয়েরা অভিযোগ করেছেন মহিলার অন্যত্র বিয়ে হয়েছে। ভাতা বন্ধ করে কল্যাণ ট্রাস্ট জেলা প্রশাসক টাঙ্গাইলকে তদন্ত করে কল্যাণ ট্রাস্টকে জানাতে বলেছে। জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি একজন এডিসি র‌্যাঙ্কের অফিসার দিয়ে তদন্ত করিয়ে জেনেছেন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী অন্যত্র বিয়ে করেননি। তদন্তের ছয় মাস পরও দরিদ্র মহিলাটি ভাতা পাননি। আমার কাছে ছুটে এসেছিলেন। এখনো অনেকেরই ধারণা, আমি সবকিছু করতে পারি, বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধা বা যুদ্ধ প্রসঙ্গে। তাই দায়িত্ব মনে করে কল্যাণ ট্রাস্টে গিয়েছিলাম। ২৪ নভেম্বর তাঁর সাক্ষাৎকার ছিল। মনে হয় মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী তাঁর সম্মানি পেয়ে গেছেন। কেন যেন এবার সশস্ত্র বাহিনী দিবসে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার একরকম আর ক্যান্টনমেন্টে সশস্ত্র বাহিনীর উপহার আরেক রকম। এই এক চোখে নুন আরেক চোখে তেল প্রদান মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য খুবই অসম্মানের ও অবহেলার। আশা তো করতেই পারি, বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময় এ ধরনের অনিয়ম বা খামখেয়ালি মোটেই কাম্য নয়।

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
নাশকতা-অরাজকতা
নাশকতা-অরাজকতা
খাদ্য নিরাপত্তা
খাদ্য নিরাপত্তা
কর্ণফুলীকে বাঁচাতে হবে
কর্ণফুলীকে বাঁচাতে হবে
সন্তানের প্রতিও অবিচার করা যাবে না
সন্তানের প্রতিও অবিচার করা যাবে না
জামায়াতের সামনে সুযোগ ও সংকট
জামায়াতের সামনে সুযোগ ও সংকট
ছফা-শামীম সিকদার সম্পর্কের মিথ
ছফা-শামীম সিকদার সম্পর্কের মিথ
সালাম প্রদানের ফজিলত
সালাম প্রদানের ফজিলত
অ্যান্টিবায়োটিক
অ্যান্টিবায়োটিক
ইউক্রেন যুদ্ধ
ইউক্রেন যুদ্ধ
যানজট কমাতে ‘মিনিবাস’
যানজট কমাতে ‘মিনিবাস’
নির্বাচন সামনে রেখেও সেনা বিষোদগার
নির্বাচন সামনে রেখেও সেনা বিষোদগার
আলো ঢাকতে ধোঁয়ার বড়াই
আলো ঢাকতে ধোঁয়ার বড়াই
সর্বশেষ খবর
ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিটনেস পরীক্ষা বেসরকারিকরণ নিরাপদ সড়কের অন্তরায়
ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিটনেস পরীক্ষা বেসরকারিকরণ নিরাপদ সড়কের অন্তরায়

৩৩ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

জার্মানিতে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
জার্মানিতে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মাদুরোকে ধরার গুপ্তচর নাটক: পাইলটকে প্রলুব্ধ করে ব্যর্থ হলো যুক্তরাষ্ট্র
মাদুরোকে ধরার গুপ্তচর নাটক: পাইলটকে প্রলুব্ধ করে ব্যর্থ হলো যুক্তরাষ্ট্র

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুনরায় চালু হচ্ছে বেসিস-সিসিপ প্রোগ্রাম
পুনরায় চালু হচ্ছে বেসিস-সিসিপ প্রোগ্রাম

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

বিবাহিত মেয়ের ওপর মা-বাবার হক
বিবাহিত মেয়ের ওপর মা-বাবার হক

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৯ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৯ অক্টোবর)

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে কুটুমবাড়ি রেস্তোরাঁকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা
চট্টগ্রামে কুটুমবাড়ি রেস্তোরাঁকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিপর্যয় পেরিয়ে ইতিহাস: আবারও শীর্ষে অ্যাপল
বিপর্যয় পেরিয়ে ইতিহাস: আবারও শীর্ষে অ্যাপল

৩ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করল বন্দুকধারী
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করল বন্দুকধারী

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসপাতালে ভর্তি হাসান মাসুদ
হাসপাতালে ভর্তি হাসান মাসুদ

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সময় চেয়ে ৪ মাসেও প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ পাননি বিজিএমইএ সভাপতি
সময় চেয়ে ৪ মাসেও প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ পাননি বিজিএমইএ সভাপতি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জলবায়ু সম্মেলনের আগে রক্তাক্ত রিও, নিহত ২০
জলবায়ু সম্মেলনের আগে রক্তাক্ত রিও, নিহত ২০

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কলেজ ছাত্র তুহিন হত্যায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি
কলেজ ছাত্র তুহিন হত্যায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় নতুন হামলার নির্দেশ নেতানিয়াহুর
গাজায় নতুন হামলার নির্দেশ নেতানিয়াহুর

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চসিকের চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট গ্রহণের শুনানি পেছাল
চসিকের চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট গ্রহণের শুনানি পেছাল

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হালদা নদীকে হেরিটেজ ঘোষণার গেজেট সংশোধন করা হবে : মৎস্য উপদেষ্টা
হালদা নদীকে হেরিটেজ ঘোষণার গেজেট সংশোধন করা হবে : মৎস্য উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নারায়ণগঞ্জে ইজিবাইক চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জে ইজিবাইক চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ক্রিকেট ইতিহাসে বিরল কীর্তি গড়লেন অ্যাশলে গার্ডনার
ক্রিকেট ইতিহাসে বিরল কীর্তি গড়লেন অ্যাশলে গার্ডনার

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে যুবককে কুপিয়ে এক লাখ টাকা ছিনতাই
রাজধানীতে যুবককে কুপিয়ে এক লাখ টাকা ছিনতাই

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হাসিনার ফ্যাসিবাদী যাত্রা শুরু হয় ২৮ অক্টোবরের রক্তাক্ত তাণ্ডব দিয়ে : রিজভী
হাসিনার ফ্যাসিবাদী যাত্রা শুরু হয় ২৮ অক্টোবরের রক্তাক্ত তাণ্ডব দিয়ে : রিজভী

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাপানের নতুন নেতৃত্ব থেকে ‘ইতিবাচক বার্তা’ লক্ষ্য করছে চীন
জাপানের নতুন নেতৃত্ব থেকে ‘ইতিবাচক বার্তা’ লক্ষ্য করছে চীন

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আইসিসির ওপর ভারতের প্রভাব’ নিয়ে মুখ খুললেন সাবেক ম্যাচ রেফারি
‘আইসিসির ওপর ভারতের প্রভাব’ নিয়ে মুখ খুললেন সাবেক ম্যাচ রেফারি

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘সাইয়ারা’র অভিনেত্রী এবার ভূতের সিনেমায়
‘সাইয়ারা’র অভিনেত্রী এবার ভূতের সিনেমায়

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভারত হবে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ডরহীন দল : গম্ভীর
ভারত হবে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ডরহীন দল : গম্ভীর

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৯ বছর পর বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ফিরল ক্রিকেট
১৯ বছর পর বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ফিরল ক্রিকেট

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাবিতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নেতৃত্বে অধ্যাপক শামছুল-জামাল-নজরুল
জাবিতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নেতৃত্বে অধ্যাপক শামছুল-জামাল-নজরুল

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির আভাস
ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির আভাস

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশে বৃহৎ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে ইইউ: রাষ্ট্রদূত মিলার
বাংলাদেশে বৃহৎ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে ইইউ: রাষ্ট্রদূত মিলার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একাই ৮ উইকেট নিলেন শামি
একাই ৮ উইকেট নিলেন শামি

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

খালেদা জিয়াকে আপসহীন নেত্রী উল্লেখ করে স্মৃতিচারণ করলেন সাদিক কায়েম
খালেদা জিয়াকে আপসহীন নেত্রী উল্লেখ করে স্মৃতিচারণ করলেন সাদিক কায়েম

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
ইনানী নয়, কক্সবাজার শহর থেকেই সেন্টমার্টিন যাবে জাহাজ
ইনানী নয়, কক্সবাজার শহর থেকেই সেন্টমার্টিন যাবে জাহাজ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানের সঙ্গে ফের চালু হচ্ছে ইরান ও তুরস্কের সরাসরি ট্রেন সার্ভিস
পাকিস্তানের সঙ্গে ফের চালু হচ্ছে ইরান ও তুরস্কের সরাসরি ট্রেন সার্ভিস

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মস্কোকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার হুমকি বেলজিয়ামের
মস্কোকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার হুমকি বেলজিয়ামের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভুয়া ওয়ার্ক পারমিটে শ্রমবাজারের সর্বনাশ
ভুয়া ওয়ার্ক পারমিটে শ্রমবাজারের সর্বনাশ

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোটের সুপারিশ ঐকমত্য কমিশনের
জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোটের সুপারিশ ঐকমত্য কমিশনের

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টঙ্গীর ইমাম মুহিবুল্লাহ মিয়াজীকে অপহরণের ঘটনা মিথ্যা : জিএমপি
টঙ্গীর ইমাম মুহিবুল্লাহ মিয়াজীকে অপহরণের ঘটনা মিথ্যা : জিএমপি

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সালমানের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত ও ন্যায়বিচার চেয়ে যা বললেন শাবনূর
সালমানের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত ও ন্যায়বিচার চেয়ে যা বললেন শাবনূর

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আসিফ নজরুলকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর
আসিফ নজরুলকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হুতি কারাগার থেকে পাঁচ বছর পর মুক্তি পেলেন ইয়েমেনি মডেল ইনতিসার
হুতি কারাগার থেকে পাঁচ বছর পর মুক্তি পেলেন ইয়েমেনি মডেল ইনতিসার

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক শক্তি নয়: নাহিদ
এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক শক্তি নয়: নাহিদ

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিশ্বকাপ নিয়ে মেসির ইঙ্গিত: খেলতে চান, তবে শর্ত একটাই!
বিশ্বকাপ নিয়ে মেসির ইঙ্গিত: খেলতে চান, তবে শর্ত একটাই!

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট হতে হবে : আমীর খসরু
জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট হতে হবে : আমীর খসরু

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অলিনের সেঞ্চুরিতে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
অলিনের সেঞ্চুরিতে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

খালেদা জিয়াকে আপসহীন নেত্রী উল্লেখ করে স্মৃতিচারণ করলেন সাদিক কায়েম
খালেদা জিয়াকে আপসহীন নেত্রী উল্লেখ করে স্মৃতিচারণ করলেন সাদিক কায়েম

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বিষয়ে জরুরি নির্দেশনা
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বিষয়ে জরুরি নির্দেশনা

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

তত্ত্বাবধায়ক ফিরলেও নির্বাচন এ সরকারের অধীনেই হবে : শিশির মনির
তত্ত্বাবধায়ক ফিরলেও নির্বাচন এ সরকারের অধীনেই হবে : শিশির মনির

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অরুণাচলের কাছে চীনের ৩৬টি বিমান বাংকার, চিন্তায় ভারত
অরুণাচলের কাছে চীনের ৩৬টি বিমান বাংকার, চিন্তায় ভারত

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পকে নোবেল পুরষ্কারে মনোনয়ন দেবেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী
ট্রাম্পকে নোবেল পুরষ্কারে মনোনয়ন দেবেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিপিএলে দল নিতে আগ্রহী যে ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজি
বিপিএলে দল নিতে আগ্রহী যে ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজি

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘কাঠগোলাপ’ প্রদর্শিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা
‘কাঠগোলাপ’ প্রদর্শিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ড্যাবের সভাপতি হারুন, মহাসচিব শাকিল
ড্যাবের সভাপতি হারুন, মহাসচিব শাকিল

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা না করে যুদ্ধ শেষ করুন, পুতিনকে ট্রাম্প
পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা না করে যুদ্ধ শেষ করুন, পুতিনকে ট্রাম্প

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বোরকা বিতর্কে জোব্বা পরে কোরআন হাতে ক্লাস নিয়ে আরেক শিক্ষকের প্রতিবাদ
বোরকা বিতর্কে জোব্বা পরে কোরআন হাতে ক্লাস নিয়ে আরেক শিক্ষকের প্রতিবাদ

১১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের পর দেউলিয়া হয়ে গেছে : তথ্য উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের পর দেউলিয়া হয়ে গেছে : তথ্য উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের দিকে চোখ তুরস্কের, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ১১ বিলিয়নের চুক্তি
অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের দিকে চোখ তুরস্কের, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ১১ বিলিয়নের চুক্তি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভেবেছিলাম ৩০ পেরোলেই বিয়ে করব: তামান্না
ভেবেছিলাম ৩০ পেরোলেই বিয়ে করব: তামান্না

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

অস্ত্র মামলায় সম্রাটের যাবজ্জীবন
অস্ত্র মামলায় সম্রাটের যাবজ্জীবন

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ : ভারতের উপকূলীয় এলাকার স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ : ভারতের উপকূলীয় এলাকার স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের অন্ধ্র উপকূলে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মন্থা, রেড অ্যালার্ট
ভারতের অন্ধ্র উপকূলে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মন্থা, রেড অ্যালার্ট

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সংসদ ব্যর্থ হলে প্রস্তাবগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হবে: আলী রীয়াজ
সংসদ ব্যর্থ হলে প্রস্তাবগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হবে: আলী রীয়াজ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
চরম ক্ষুব্ধ বিএনপি
চরম ক্ষুব্ধ বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

আসিফ নজরুল প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন
আসিফ নজরুল প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন

প্রথম পৃষ্ঠা

পর্যটন বিকাশে হচ্ছে ‘বর্ডার ড্রাইভ’
পর্যটন বিকাশে হচ্ছে ‘বর্ডার ড্রাইভ’

নগর জীবন

এক লাফে সোনার দাম কমল সাড়ে ১০ হাজার টাকা
এক লাফে সোনার দাম কমল সাড়ে ১০ হাজার টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

বডি-ওর্ন ক্যামেরা কেনার নির্দেশ
বডি-ওর্ন ক্যামেরা কেনার নির্দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

কিছু উপদেষ্টা চক্রান্ত করছেন
কিছু উপদেষ্টা চক্রান্ত করছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ট্রোকের চিকিৎসা ঢাকাকেন্দ্রিক
স্ট্রোকের চিকিৎসা ঢাকাকেন্দ্রিক

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ
দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রয়াত মন্ত্রী নাসিমের স্ত্রী-সন্তানসহ পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
প্রয়াত মন্ত্রী নাসিমের স্ত্রী-সন্তানসহ পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

খবর

বেশির ভাগ অবৈধ সম্পদ হিসাবের বাইরে
বেশির ভাগ অবৈধ সম্পদ হিসাবের বাইরে

প্রথম পৃষ্ঠা

বোরকা নিয়ে শিক্ষকের মন্তব্যে উত্তাল রাবি
বোরকা নিয়ে শিক্ষকের মন্তব্যে উত্তাল রাবি

নগর জীবন

ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ১০ লক্ষাধিক শিশু
ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ১০ লক্ষাধিক শিশু

পেছনের পৃষ্ঠা

সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ পাকিস্তান যৌথ বাহিনী চেয়ারম্যানের
সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ পাকিস্তান যৌথ বাহিনী চেয়ারম্যানের

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐকমত্যের অনৈক্যের সুপারিশ
ঐকমত্যের অনৈক্যের সুপারিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

শিমুল গাছের বয়স ২০০ বছর
শিমুল গাছের বয়স ২০০ বছর

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ১২ জন
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ১২ জন

নগর জীবন

বিএনপি-জামায়াত ছাড়া মাঠে নেই অন্য কেউ
বিএনপি-জামায়াত ছাড়া মাঠে নেই অন্য কেউ

নগর জীবন

হাইব্রিড মরিচে কৃষকের মুখে হাসি
হাইব্রিড মরিচে কৃষকের মুখে হাসি

পেছনের পৃষ্ঠা

লিটনদের ফেরার ম্যাচ আজ
লিটনদের ফেরার ম্যাচ আজ

মাঠে ময়দানে

এককভাবে সরকার গঠন করলে বেশি দিন টিকবে না
এককভাবে সরকার গঠন করলে বেশি দিন টিকবে না

নগর জীবন

সংশোধিত শ্রম আইনে শিল্পে অস্থিরতা বাড়বে
সংশোধিত শ্রম আইনে শিল্পে অস্থিরতা বাড়বে

প্রথম পৃষ্ঠা

চাকরি পেলেন গণপিটুনিতে নিহত প্রদীপ লালের ছেলে
চাকরি পেলেন গণপিটুনিতে নিহত প্রদীপ লালের ছেলে

নগর জীবন

ড্যাবের ২৭৬ সদস্যের কমিটি অনুমোদন
ড্যাবের ২৭৬ সদস্যের কমিটি অনুমোদন

নগর জীবন

স্প্যাম নিয়ন্ত্রণে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার
স্প্যাম নিয়ন্ত্রণে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার

টেকনোলজি

নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে অস্ত্র উদ্ধার তত বাড়বে
নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে অস্ত্র উদ্ধার তত বাড়বে

নগর জীবন

স্কুলে ভর্তিতে লটারি বাতিলের দাবি
স্কুলে ভর্তিতে লটারি বাতিলের দাবি

দেশগ্রাম

বিআরটিসির চলন্ত বাসে আগুন
বিআরটিসির চলন্ত বাসে আগুন

নগর জীবন

নির্বাচনের দুর্নাম করবে এমন পর্যবেক্ষক ডাকবে না সরকার
নির্বাচনের দুর্নাম করবে এমন পর্যবেক্ষক ডাকবে না সরকার

নগর জীবন

‘তরল বায়ুপ্রযুক্তি’ হতে পারে জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প
‘তরল বায়ুপ্রযুক্তি’ হতে পারে জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প

টেকনোলজি