শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩ আপডেট:

আওয়ামী লীগ কেন কখন কীভাবে হারে

সৈয়দ বোরহান কবীর
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
আওয়ামী লীগ কেন কখন কীভাবে হারে

এক-এগারোর ১৬তম বার্ষিকীর দিন রাজনীতির মাঠ ছিল সরগরম। বিএনপি করেছে গণ-অবস্থান কর্মসূচি আর আওয়ামী লীগ থেকেছে সতর্ক পাহারায়। কর্মদিবসে এসব কর্মসূচিতে ব্যাপক জনভোগান্তি হয়েছে বটে। কিন্তু তারপরও জনমনে একটা স্বস্তি ছিল লক্ষণীয়। সাধারণ মানুষ শান্তি চায়। নিজেদের কাজকর্ম ঠিকঠাক মতো করতে চায়। যে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি তাই জনমনে আতঙ্ক ছড়ায়। বিএনপির মধ্যে ইদানীং তারিখ বিভ্রাট বা বিভ্রান্তি প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিদায়ী বছরের ২৪ ডিসেম্বর বিএনপি গণমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল। ওই দিন আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনের তারিখ নির্ধারিত ছিল বহু আগেই। এরপর বিএনপি নেতাদের ভুল ভাঙে। গণমিছিলের নতুন তারিখ দেয় ৩০ ডিসেম্বর। বুধবার (১১ জানুয়ারি) বিএনপি পালন করল গণ-অবস্থান কর্মসূচি। এবার অবশ্য শুধু বিএনপি নয়, নানা দল, নানা জোট বিএনপির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেছে। বিএনপি অবশ্য ঢাকার বাইরে তাদের ১০ সাংগঠনিক বিভাগেও এ কর্মসূচি পালন করে। কেন্দ্রীয় নেতারা কর্মসূচি সফল করতে ওইসব বিভাগীয় শহরে যান। এক-এগারো বাংলাদেশের রাজনীতিতে নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের উদ্যোগ হিসেবে এ দিনটি আলোচিত। এক-এগারো একদিকে যেমন বিএনপির একতরফা প্রহসনের নির্বাচন প্রচেষ্টাকে বানচাল করেছিল, তেমনি ছিল রাজনীতিকে নির্বাসনে পাঠানোর মিশন। বিএনপির একান্ত অনুগত বিশ্বস্ত কতিপয় ব্যক্তি সেদিন বিএনপিকে আসলে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। জেনারেল মইন উ আহমেদ ছিলেন বেগম জিয়ার একান্ত অনুগত সামরিক কর্মকর্তা। সাতজন সিনিয়রকে ডিঙিয়ে তাকে সেনাপ্রধান করা হয়েছিল। বেগম জিয়ার প্রত্যাশা ছিল দুঃসময়ে তিনি পাশে থাকবেন। ড. ফখরুদ্দীন আহমদকে বেগম জিয়াই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর নিযুক্ত করেছিলেন। জেনারেল আমিন কিংবা ব্রিগেডিয়ার বারী সবাই ছিলেন বিএনপিপন্থি। আওয়ামী লীগবিরোধী। অনেকেই মনে করেন, এক-এগারো ছিল বিএনপির সৃষ্টি। গণঅভ্যুত্থানের হাত থেকে বাঁচতেই বিএনপি সেদিন সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়েছিল। কিন্তু আমি তেমনটি মনে করি না। আমার মতে, এক-এগারো ছিল বিরাজনীতিকরণের চক্রান্তের অংশ। সুশীল সমাজকে বিনা নির্বাচনে ক্ষমতায় রাখার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত বাস্তবায়ন প্রকল্প। সংস্কারের নামে রাজনীতিকে কলঙ্কিত করা। রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ীদের চরিত্র হনন করাই ছিল এক-এগারোর অন্যতম উদ্দেশ্য। এক-এগারো সরকারের তথাকথিত রাজনৈতিক সংস্কারের মূল লক্ষ্যই ছিল রাজনীতিমুক্ত বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এক-এগারোর লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। ড. ফখরুদ্দীনের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেরিতে হলেও নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়েছিল। এক-এগারোর পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার প্রধান কারণ ছিলেন শেখ হাসিনা। তিনিই প্রথম সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় থাকা সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। দ্রুত নির্বাচনের দাবি করেন। রাজনীতিবিদদের ঢালাও গ্রেফতারের প্রতিবাদে সোচ্চার হন। এ জন্য তাঁকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছিল। তাঁর দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল অনির্বাচিত সরকার। সব শেষে তাঁকে কারান্তরিন করে মাইনাস ফর্মুলা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজের রাজনৈতিক দূরদর্শিতায় শেখ হাসিনা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধ্য করেন। শেখ হাসিনা কিছুদিন আগে নিজেই এক-এগারোর অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকদের। কাউন্সিলের আগে দলের সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে বসেছিলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেছিলেন, কারান্তরিন সময়ের অভিজ্ঞতা। সেনা কর্মকর্তারা দুই ভাগে ভাগ হয়ে দুই নেত্রীর কাছে যান। শেখ হাসিনার কাছে এসেছিলেন জেনারেল আমিন। এসেই তিনি উত্তেজনা দেখান। রাজনীতিবিদদের গালাগালি করেন। শেখ হাসিনা শান্ত। সবকিছু শোনেন। তারপর তিনি জানান, দেশের জন্য তাঁর পরিকল্পনার কথা। ভিশন-২০২১, রূপকল্প-২০৪১ এর পরিকল্পনা। অন্যদিকে বেগম জিয়ার কাছে যান ব্রিগেডিয়ার বারী। খালেদা ছিলেন উত্তেজিত। প্রচণ্ড গালাগালি করেন সেনা কর্মকর্তাদের। ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে কী করবেন তারও বিস্তারিত বিবরণ দেন। ব্যস। দুই নেত্রীর দুই পথের শুরু হয় এখান থেকেই। এক-এগারো সবচেয়ে ক্ষতি করেছে বিএনপির। ১৬ বছরেও সেই ক্ষত সারাতে পারেনি দলটি। সেই বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষাক্ত ছোবলকে আবার আলিঙ্গন করতে চায়। বেহুলার বাসর ঘরে ছিদ্র দিয়ে যেভাবে সাপ প্রবেশ করেছিল, ঠিক তেমনি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাংবিধানিক পদ্ধতির মধ্যে ছিল অদ্ভুত ফাঁক। সেই ফাঁক দিয়েই একটি অনির্বাচিত সরকারের অনন্তকাল ক্ষমতায় থাকার সুযোগ সৃষ্টি হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে সাংবিধানিক বিধান ছিল, তাতে এর মেয়াদ ৯০ দিন। কিন্তু ৯০ দিনের মধ্যে যদি ওই সরকার নির্বাচন করতে না পারে তাহলে কী হবে, সেই ব্যাখ্যা ছিল না। এ কারণেই ড. কামাল হোসেন সর্বোচ্চ আদালতে বলেছিলেন, নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারে। এতে সংবিধান লঙ্ঘন হয় না। ৯০ দিনের কথা বলে ড. ফখরুদ্দীনের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুই বছর ক্ষমতায় ছিল। জেনারেল মইন এবং ড. ফখরুদ্দীনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ই রাজনীতিবিদদের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারবিরোধী একটি ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, দুই প্রধান রাজনৈতিক দলই বলেছিল, আর না তত্ত্বাবধায়ক সরকার। পরে অবশ্য দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল ঘোষিত হয়। এক-এগারো তাই গণতন্ত্রের সর্বনাশের দিন। বিএনপি ওইদিন গণঅনাস্থা কর্মসূচি পালন করল। এটি কি কাকতালীয় নাকি ইঙ্গিতবাহী। বিএনপি কি ১০ দফা কিংবা রাষ্ট্র মেরামতের কর্মসূচির মাধ্যমে আবার একটি এক-এগারো আনতে চায়? বিএনপি একটি সুশীল সরকার কায়েম করতে চায়? বিএনপি কি গণতন্ত্রের সর্বনাশ চায়? আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্য বিরোধী আন্দোলনে মোটেও বিচলিত নন। সরকার অর্থ পাচার, দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মুদ্রাস্ফীতি, ব্যাংকিং খাতে সংকট, ডলার সমস্যা, বৈশ্বিক পরিস্থিতি ইত্যাদি নিয়ে কিছুটা হলেও চাপে আছে। সরকারের কার্যক্রমেও সেই চাপ বোঝা যায়। সেই তুলনায় বিরোধী আন্দোলনে সরকার বেশ ফুরফুরে, চাপমুক্ত। এর কারণ একাধিক। প্রথমত, বিএনপির নেতৃত্বে আন্দোলনে এখন পর্যন্ত জনসম্পৃক্তি ঘটেনি। দ্বিতীয়ত, এ আন্দোলন সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারেনি। বিএনপি বাধ্য ছেলের মতো সরকারের অনুমতি নিয়েই কর্মসূচি পালন করেছে। তৃতীয়ত, বিরোধী আন্দোলন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে সংগঠিত হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। ভিতরের কোন্দল ভুলে ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকা দলটি ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। নেতা-কর্মীরা কাজ পাচ্ছে। আক্রান্ত হলেই আওয়ামী লীগ শক্তিশালী হয়। সংগঠিত হয়। নিজেদের বিরোধ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী বিরোধী আন্দোলনকে স্বাগত জানান। তবে এ আন্দোলন দিয়ে তো সরকার হটানো যাবে না, এটা শেখ হাসিনার মতো পোড় খাওয়া, আন্দোলনে বেড়ে ওঠা রাজনীতিবিদ ছাড়া আর কে ভালো জানেন। এ জন্যই ১০ জানুয়ারি জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিল আর আওয়ামী লীগ পড়ে গেল এত সহজ নয়।’ আন্দোলনের ধাক্কায় আওয়ামী লীগের পতন কখনো হয়নি। স্বাধীনতার পর জাসদ বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। গণবাহিনী সন্ত্রাসের তাণ্ডব চালিয়েছে। কিন্তু জাসদ আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে পারেনি। ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগই বাংলাদেশের প্রথম সরকার হিসেবে মেয়াদ পূর্ণ করে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে। ২০১৩ এবং ২০১৪ সালে জ্বালাও-পোড়াও করে আওয়ামী লীগকে গদিচ্যুত করা সম্ভব হয়নি। সে তুলনায় এ আন্দোলন কিছুই না। তাই রাজনীতির ইতিহাস বলে আন্দোলনে এ সরকারের পতন সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হেরে যায় ষড়যন্ত্রের কাছে। চক্রান্ত আওয়ামী লীগকে পরাস্ত করে। ’৫৪-তে ষড়যন্ত্র করেই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল। ’৭৫-এ ষড়যন্ত্র শুধু আওয়ামী লীগ নয়, বাংলাদেশকেই গভীর সংকটে দাঁড় করিয়েছিল। ’৯১-এর নির্বাচন ছিল আওয়ামী লীগকে হারানোর নীলনকশার নিপুণ বাস্তবায়ন। ২০০১ সালের ষড়যন্ত্রও আওয়ামী লীগকে পরাজিত করে। গত ৭ জানুয়ারি ছিল তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের চার বছর পূর্তি। এ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই ভাষণে তিনি বলেছেন, ‘এ বছরের শেষে অথবা সামনের বছরের শুরুতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু এখন থেকেই স্বাধীনতাবিরোধী, ক্ষমতালোভী, জনগণের সম্পদ লুণ্ঠনকারী আর পরগাছা গোষ্ঠীর সরব তৎপরতা শুরু হয়েছে। এদের লক্ষ্য ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি করে পেছনের দরজা দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করা। গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করা।’ রণকৌশলের প্রধান কাজ আসল শত্রুকে চিহ্নিত করা। প্রধানমন্ত্রী সেই কাজটা করেছেন। আন্দোলন যে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য একটি আবরণ এটা তিনি ভালো করেই জানেন। ক্ষমতাচ্যুত করার আসল কাজ হচ্ছে পর্দার আড়ালে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কখনো বাস্তবায়িত হয়?

যখন আওয়ামী লীগ অতি আত্মবিশ্বাসী হয়, ভিতরের বিশ্বাসঘাতকরা প্রতিপক্ষের সঙ্গে গোপনে হাত মেলায়। যখন আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের যোদ্ধারা দূরে সরে যায়, অবহেলায়, যখন দলের ত্যাগী পরীক্ষিতরা কোণঠাসা হয়, যখন চাটুকারদের আলখেল্লায় সত্য গোপন হয়, সুবিধাবাদীরা যখন ক্ষমতার কেন্দ্রের চারপাশ ঘিরে রয়, বিশ্বাসঘাতকরা যখন বিশ্বস্ততার মুখোশ লাগায়, আওয়ামী লীগ যখন অচেনা মানুষের প্রেমে হাবুডুবু খায়, ঠিক তখনই আওয়ামী লীগ হেরে যায়। ’৭৫-এর আগে তাজউদ্দীন আহমদরা নির্বাসিত হয়েছিলেন। খুনি মোশতাকের মতো চাটুকার এবং সুবিধাবাদীরা বঙ্গবন্ধুর চারপাশে সারাক্ষণ ঘুর ঘুর করত। মেরুদণ্ডহীন নেতারা প্রতিবাদহীন ছিলেন। ’৯১-এর নির্বাচনে জয়ের আগেই আওয়ামী লীগ জিতেছিল। অতি আত্মবিশ্বাসী আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতা মন্ত্রিসভার দফতর ভাগবাটোয়ারা করায় ব্যস্ত ছিলেন। ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে বিশ্বস্ততার মুখোশ পরা বিশ্বাসঘাতক বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের প্রেমে পড়েছিল আওয়ামী লীগ। মেরুদণ্ডহীন কতিপয় আমলার ওপর নির্ভর করেছিল। ভুল মানুষকে পক্ষের লোক ভেবে ভুল করেছিল। এখন পরিস্থিতি কী? আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের বোদ্ধারা কি ক্ষমতার কেন্দ্রে আছেন? নাকি এক-এগারোর সংস্কারপন্থিদের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়েছেন। নিজেদের পরীক্ষিত এবং বিশ্বস্ত আমলাদের বাদ দিয়ে যাদের সামনে আনা হচ্ছে তারা কি কঠিন সময়ে বিশ্বস্ত থাকবেন? নাকি সময় হলে মুখোশটা খুলে ফেলে আসল রূপ দেখাবেন? প্রশাসনে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে যারা নানাভাবে পুরস্কৃত হচ্ছেন, আওয়ামী লীগের চেয়েও বড় আওয়ামী লীগ হয়েছেন, তারা কি বৈরী পরিবেশে পাশে থাকবেন? ’৭৫-এ মন্ত্রিপরিষদ সচিব ছিলেন এইচ টি ইমাম। জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের পর তিনি খুনি মোশতাকের অবৈধ মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছিলেন। এইচ টি ইমাম বিশ্বাসঘাতক নাকি মেরুদণ্ডহীন তা বিচার করবে ইতিহাস। কঠিন সময়ে নীতির প্রশ্নে অটল থাকতে পারেননি আরেক আমলা ড. ফরাসউদ্দিন আহমেদ। বঙ্গবন্ধুর (রাষ্ট্রপতি) একান্ত সচিব ছিলেন। ১৪ আগস্ট গণভবনে জাতির পিতার শেষ অনুষ্ঠান ছিল ড. ফরাসউদ্দিনের বিদায় অনুষ্ঠান। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতির পিতা। অনুষ্ঠান শেষ করে তোফায়েল আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধু ৩২ নম্বরে ফিরে যান। পরদিন তাঁর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা ছিল। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এরপর ফরাসউদ্দিন কী করেছিলেন? তিনি খুনি মোশতাকের কাছ থেকে অনাপত্তি নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেন। আমলারা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর মতো অস্ত্র তুলে নেবেন না। প্রতিরোধ যুদ্ধ করতে জীবন-যৌবন সব কিছু বিসর্জন দেবেন না। ঝাঁকের কই ঝাঁকে মিশে যাবে। ’৭৫-এর পর কজন আমলা চাকরি ছেড়েছেন? কজন আমলা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে খুনি মোশতাক সরকারের অধীনে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন? আদর্শবান রাজনীতিবিদরাই প্রতিরোধযুদ্ধ করেন। জীবনের সব আনন্দ বিসর্জন দেন। আদর্শের বেদিতে যৌবন বলিদান করেন। এরকম কজন নেতা আছেন এখন আওয়ামী লীগে? আওয়ামী লীগ সরকার তৃতীয় মেয়াদে অনেকটাই আমলানির্ভর। এ আমলানির্ভরতা কি ষড়যন্ত্রের সুড়ঙ্গের পথ তৈরি করছে না?

১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ নিরপেক্ষ মানুষের সন্ধানে মেতেছিল। বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেছিল। এম এ সাঈদকে করা হয়েছিল প্রধান নির্বাচন কমিশনার। ২০০১-এর নির্বাচনে ‘বিশ্বস্ত বিশ্বাসঘাতক’দের ষড়যন্ত্রে পরাজিত হয়েছিল আওয়ামী লীগ। এখন আবার আওয়ামী লীগের মধ্যে নিরপেক্ষ ব্যক্তি খোঁজার ঝোঁক দেখা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগে গায়ে ধুলোবালি লাগা মানুষেরা অনাহুত। নিরপেক্ষরা বিচক্ষণ, মেধাবী। তাদেরই যোগ্য মনে করা হচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট নেতা। কিন্তু স্মার্ট মানুষ খুঁজতে গিয়ে তার আদর্শ পরীক্ষা হচ্ছে কি? তার ঠিকুজি পরখ না করলে ভবিষ্যতে আবার ধাক্কা খেতে হবে আওয়ামী লীগকে। চার মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ তিনজন রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিয়েছে। বিচারপতি সাহাবুদ্দীন অরাজনৈতিক ব্যক্তি ছিলেন। আর জিল্লুর রহমান এবং বর্তমান আবদুল হামিদ হলেন তৃণমূল থেকে বেড়ে ওঠা রাজনীতিবিদ। এ দুজন প্রমাণ করেছেন রাজনৈতিক আদর্শের প্রতি বিশ্বাস এবং আনুগত্যই বড় সততা। সামনে আওয়ামী লীগকে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে হবে। নতুন রাষ্ট্রপতি কি একজন রাজনীতিবিদ হবেন নাকি সাবেক আমলা? ষড়যন্ত্রের জয়-পরাজয় এ সিদ্ধান্তের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর আওয়ামী লীগ কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি করে। কমিটিতে চমক ছিল। আবদুল জলিল সাধারণ সম্পাদক হন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে অন্যতম ছিলেন প্রয়াত মুকুল বোস। সাংগঠনিক সম্পাদক হন মাহমুদুর রহমান মান্না, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, সাবের হোসেন চৌধুরীর মতো সম্ভাবনাময় নেতারা। কিন্তু এক-এগারোর সময় এ তুখোড়, সম্ভাবনাময়রা কী করেছেন সবাই জানেন। রাজনীতিবিদরা যদি নেতৃত্বের প্রতি অকুণ্ঠ অনুগত না থাকেন, আদর্শে অবিচল না হন তাহলে কী হয় এক-এগারো তা শিখিয়েছে। মেধাবী হলেই আদর্শবান নেতা হওয়া যায় না। আওয়ামী লীগের এবার কমিটিতে যেটুকু চমক তা ওই ‘মেধাবী’দের কয়েকজনকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে নিয়ে আসা। সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম নেওয়া এ মেধাবীরা সংকটে কী করবেন তা দেখার অপেক্ষায় রইলাম। এদের কেউ কেউ পুরস্কৃত হয়েই তাদের জাত চিনিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে জাতীয় সংসদে বক্তৃতা দিয়ে, দুটি পত্রিকা পড়েন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। এর কারণও তিনি একাধিকবার ব্যাখ্যা করেছেন। একজন দেখলাম কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা পেয়েই বিরাজনীতিকরণের মুখপাত্র এক ইংরেজি দৈনিকে কলাম লিখে ফেলেছেন। কী প্রতিভা। এরাই তো ভবিষ্যতে ষড়যন্ত্রের রাস্তা পরিষ্কার করবে। ঘর ঠিক থাকলে বাইরের ষড়যন্ত্র আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে পারে না। ঘরে শত্রুদের বিশ্বাসঘাতকতা, লোভ এবং আপসকামিতা ছাড়া আওয়ামী লীগ কখনো হারেনি। আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ হলো আওয়ামী লীগই। বাংলাদেশের আওয়ামী লীগই একমাত্র রাজনৈতিক দল, যারা আন্দোলনে পরাস্ত হয়নি। আওয়ামী লীগ যতবার হেরেছে ততবারই ভিতর থেকে বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে। ক্ষমতার কেন্দ্রের চারপাশ আগে দখল করেছে আদর্শহীন, চাটুকার, সুবিধাবাদী, ছদ্মবেশী বহিরাগতরা। ’৭৫, ’৯১, ২০০১-এ আওয়ামী লীগের বিপর্যয়ের প্রধান কারণ ঘরের ইঁদুরের বাঁশ কাটা। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ সবসময়ই অপরাজেয়। কারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এ দলটিকে জনগণের সংগঠনে পরিণত করেছিলেন। এ দেশের মাটি মানুষ, জল-কাদায় বেড়ে উঠেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগকে হারানোর একমাত্র সূত্র হলো ঘরের ভিতর ‘বিভীষণ’ তৈরি করা। আর এ শঙ্কা তখনই বাড়ে যখন বঙ্গবন্ধুর ত্যাগের বিনিময়ে এ সংগঠনে সুবিধাবাদী চাটুকারদের ভিড় বাড়ে। অবশ্য এক-এগারো আওয়ামী লীগকে একটি বড় শিক্ষা দিয়েছে। আওয়ামী লীগ নয় বরং শেখ হাসিনা এক-এগারোর পর নিজেকে পুরোপুরি বদলে ফেলেছেন। দলের পুরো নিয়ন্ত্রণ তাঁর হাতে। সবকিছু তিনি একাই সামলাচ্ছেন। সরকার এবং দল চালাচ্ছেন একা। তাঁর এ কৌশল সঠিক না ভুল তা সময়ই বলে দেবে। কিন্তু এর ফলে ষড়যন্ত্রকারীরা একটা বৃত্তের মধ্যে বন্দি হয়ে থাকছে। শেখ হাসিনা যাকে যতটুকু দরকার তাকে ততটুকু ব্যবহার করছেন। সবাই সবটুকু জানেও না। এ কারণেই আওয়ামী লীগ টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আছে। শেখ হাসিনা এখন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কাছেই এক দুর্বোধ্য বইয়ের পাতা। ২০১৪- এর নির্বাচনের সময় শেখ হাসিনার কৌশল ছিল আওয়ামী লীগের অজানা। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের প্রায় সবাই নতুন নির্বাচনের প্রস্তুতির কথা ভাবছিলেন। ২০১৮-এর নির্বাচন এভাবে হবে আওয়ামী লীগের কেউ ভাবতেও পারেনি। সাম্প্রতিক সময় শেখ হাসিনাকে অনেক দৃঢ়, সাহসী এবং প্রত্যয় দীপ্ত মনে হচ্ছে। ৭ জানুয়ারি, ১০ জানুয়ারি এবং ১১ জানুয়ারি তাঁর বক্তৃতাগুলো ভালোভাবে শুনলে বোঝা যায় তিনি প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী। আগামী নির্বাচনের রোডম্যাপ তিনি তৈরি করে ফেলেছেন। আন্দোলনের জল কোন সাগরে পড়বে সেটাও ঠিক করা। তাই ঘর থেকে বিশ্বাসঘাতকরা কিছু করবে এমনটা খুব সহজসাধ্য ব্যাপার না। কিন্তু ১৪ বছরে একটা ব্যাপার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং ষড়যন্ত্রকারীদের কাছে পরিষ্কার। শেখ হাসিনাই একমাত্র প্রতিপক্ষ। তিনিই পথের কাঁটা। ইদানীং বিএনপি এবং তাদের নিয়ন্ত্রিত গুজব সেল সব কামান তাক করেছে তাঁর দিকে। টার্গেট একটাই- শেখ হাসিনা। সামনের লড়াইটা তাই শেখ হাসিনার একার।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
শিরকমুক্ত থাকা
শিরকমুক্ত থাকা
জাল নোটের দৌরাত্ম্য
জাল নোটের দৌরাত্ম্য
ওয়াজ মাহফিল আয়োজকদের সমীপে কিছু কথা
ওয়াজ মাহফিল আয়োজকদের সমীপে কিছু কথা
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
রাজশাহী নৌবন্দরে সম্ভাবনার হাতছানি
রাজশাহী নৌবন্দরে সম্ভাবনার হাতছানি
অংশ কখনো সমগ্র নয়
অংশ কখনো সমগ্র নয়
ধর্মীয় সহনশীলতা ও ইসলাম
ধর্মীয় সহনশীলতা ও ইসলাম
দেশব্যাপী সাঁড়াশি অভিযান
দেশব্যাপী সাঁড়াশি অভিযান
গণভোট বিতর্ক
গণভোট বিতর্ক
টাইফয়েড নির্মূলের লড়াই বনাম গুজব
টাইফয়েড নির্মূলের লড়াই বনাম গুজব
নিরপেক্ষ জনপ্রশাসন : চাই রাজনৈতিক অঙ্গীকার
নিরপেক্ষ জনপ্রশাসন : চাই রাজনৈতিক অঙ্গীকার
রাজনীতির বিজ্ঞানে ম্যাটিকুলাস ডিজাইন!
রাজনীতির বিজ্ঞানে ম্যাটিকুলাস ডিজাইন!
সর্বশেষ খবর
কুড়িগ্রামে শব্দ ও বায়ুদূষণ রোধে অভিযান, জরিমানা
কুড়িগ্রামে শব্দ ও বায়ুদূষণ রোধে অভিযান, জরিমানা

১০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মহেশপুরে কৃষকদের অধিকার নিশ্চিতে সংগঠনের আত্মপ্রকাশ
মহেশপুরে কৃষকদের অধিকার নিশ্চিতে সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভোলায় নবজাতক হত্যা, নানা-নানির কারাদণ্ড
ভোলায় নবজাতক হত্যা, নানা-নানির কারাদণ্ড

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মহানবী (সা.) যেভাবে মানবজাতির জন্য রহমতস্বরূপ
মহানবী (সা.) যেভাবে মানবজাতির জন্য রহমতস্বরূপ

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ষড়যন্ত্র নয়, নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন: হেলাল
ষড়যন্ত্র নয়, নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন: হেলাল

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

মঙ্গলের হারানো বায়ুমণ্ডল খুঁজবে নাসার দুই যান
মঙ্গলের হারানো বায়ুমণ্ডল খুঁজবে নাসার দুই যান

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

এনসিপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ৫
এনসিপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ৫

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কর্মক্ষেত্র দখল করছে প্রযুক্তি, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে হবে
কর্মক্ষেত্র দখল করছে প্রযুক্তি, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে হবে

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ডেনমার্ক মডেলের কঠোর অভিবাসন নীতি আনছে যুক্তরাজ্য?
ডেনমার্ক মডেলের কঠোর অভিবাসন নীতি আনছে যুক্তরাজ্য?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাগেরহাটে চারটি আসন বহাল, জেলাজুড়ে মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ
বাগেরহাটে চারটি আসন বহাল, জেলাজুড়ে মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজকীয় উত্থান থেকে দেউলিয়া, যেভাবে ডুবল কিংফিশার
রাজকীয় উত্থান থেকে দেউলিয়া, যেভাবে ডুবল কিংফিশার

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মায়া সভ্যতার দিনক্ষণ নির্ণয়ের রহস্য ভেদ করলেন বিজ্ঞানীরা
মায়া সভ্যতার দিনক্ষণ নির্ণয়ের রহস্য ভেদ করলেন বিজ্ঞানীরা

২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

রাজবাড়ীতে বিএনপির জনসভা অনুষ্ঠিত
রাজবাড়ীতে বিএনপির জনসভা অনুষ্ঠিত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পরবর্তী যুদ্ধের প্রস্তুতি, ২৪ ঘণ্টাই ব্যস্ত ইরানি মিসাইল কারাখানা
পরবর্তী যুদ্ধের প্রস্তুতি, ২৪ ঘণ্টাই ব্যস্ত ইরানি মিসাইল কারাখানা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ নিয়ে এখন পর্যন্ত যা জানা গেল
দিল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ নিয়ে এখন পর্যন্ত যা জানা গেল

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নভেম্বরে রাতের আকাশে দেখা মিলবে ‘টোরিডস’ উল্কাবৃষ্টি
নভেম্বরে রাতের আকাশে দেখা মিলবে ‘টোরিডস’ উল্কাবৃষ্টি

৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

পৃথিবীর সবচেয়ে নীরব কক্ষ, নিজের রক্ত চলাচলের শব্দও শোনা যায়!
পৃথিবীর সবচেয়ে নীরব কক্ষ, নিজের রক্ত চলাচলের শব্দও শোনা যায়!

৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

এখনো বিদেশি বিনিয়োগের অনুকূল নয় বাংলাদেশ : ইতালির রাষ্ট্রদূত
এখনো বিদেশি বিনিয়োগের অনুকূল নয় বাংলাদেশ : ইতালির রাষ্ট্রদূত

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এশিয়ার স্বচ্ছতম নদীর পানি এখন ঘোলা, কিন্তু কেন?
এশিয়ার স্বচ্ছতম নদীর পানি এখন ঘোলা, কিন্তু কেন?

৪ ঘণ্টা আগে | পর্যটন

ফরিদাবাদে বিপুল বিস্ফোরক উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টা পরই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দিল্লি
ফরিদাবাদে বিপুল বিস্ফোরক উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টা পরই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দিল্লি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লিতে বিস্ফোরণ, বিচ্ছিন্ন শরীর আর হাত পড়েছিল রাস্তায়
দিল্লিতে বিস্ফোরণ, বিচ্ছিন্ন শরীর আর হাত পড়েছিল রাস্তায়

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ সিরিজের আগে আয়ারল্যান্ড শিবিরে ধাক্কা
বাংলাদেশ সিরিজের আগে আয়ারল্যান্ড শিবিরে ধাক্কা

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপি সরকার গঠন করলে কাজের জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম আসতে হবে না : আমীর খসরু
বিএনপি সরকার গঠন করলে কাজের জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম আসতে হবে না : আমীর খসরু

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কুড়িগ্রামে বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবীরের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার
কুড়িগ্রামে বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবীরের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে সেমিনার অনুষ্ঠিত
বগুড়ায় পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে সেমিনার অনুষ্ঠিত

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দিল্লির লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণে নিহত ৮
দিল্লির লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণে নিহত ৮

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বঙ্গোপসাগরে ট্রলারসহ ২৪ জেলেকে উদ্ধার করল নৌবাহিনী
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারসহ ২৪ জেলেকে উদ্ধার করল নৌবাহিনী

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর দিল্লি উত্তর প্রদেশ ও মুম্বাইয়ে উচ্চ সতর্কতা জারি
ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর দিল্লি উত্তর প্রদেশ ও মুম্বাইয়ে উচ্চ সতর্কতা জারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুবককে কুপিয়ে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ
যুবককে কুপিয়ে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কলাপাড়ায় প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি
কলাপাড়ায় প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীতে দুই বাসে আগুন
রাজধানীতে দুই বাসে আগুন

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুরান ঢাকায় গুলিতে নিহত ব্যক্তি 'শীর্ষ সন্ত্রাসী' মামুন: পুলিশ
পুরান ঢাকায় গুলিতে নিহত ব্যক্তি 'শীর্ষ সন্ত্রাসী' মামুন: পুলিশ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুরান ঢাকায় সিনেমা স্টাইলে গুলি, যা দেখা গেল সিসি ক্যামেরায়
পুরান ঢাকায় সিনেমা স্টাইলে গুলি, যা দেখা গেল সিসি ক্যামেরায়

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

একনেকে ৭ হাজার ১৫০ কোটি টাকার ১২ প্রকল্প অনুমোদন
একনেকে ৭ হাজার ১৫০ কোটি টাকার ১২ প্রকল্প অনুমোদন

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজ পরিবারের অবস্থান জানালেন মির্জা ফখরুল
মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজ পরিবারের অবস্থান জানালেন মির্জা ফখরুল

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিউইয়র্কের নতুন মেয়র মামদানির নাগরিকত্ব বাতিলের চেষ্টা
নিউইয়র্কের নতুন মেয়র মামদানির নাগরিকত্ব বাতিলের চেষ্টা

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাবির রেজিস্ট্রারের সঙ্গে জিএস আম্মারের বাগবিতণ্ডার ভিডিও ভাইরাল
রাবির রেজিস্ট্রারের সঙ্গে জিএস আম্মারের বাগবিতণ্ডার ভিডিও ভাইরাল

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

২০২৬ সালের সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি
২০২৬ সালের সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ধানমন্ডিতে ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে বাসে আগুন
ধানমন্ডিতে ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে বাসে আগুন

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন বহাল রেখে হাইকোর্টের রায়
বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন বহাল রেখে হাইকোর্টের রায়

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মার্কিন নাগরিকদের ২ হাজার ডলার দেওয়ার ঘোষণা ট্রাম্পের
মার্কিন নাগরিকদের ২ হাজার ডলার দেওয়ার ঘোষণা ট্রাম্পের

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেল রপ্তানিতে ইরানের নতুন রেকর্ড
তেল রপ্তানিতে ইরানের নতুন রেকর্ড

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারি কর্মচারীদের বেতন থেকে আয়কর কাটার নির্দেশ
সরকারি কর্মচারীদের বেতন থেকে আয়কর কাটার নির্দেশ

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজার সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ২০০ ফিলিস্তিনির নিরাপদ প্রত্যাবাসনের চেষ্টা তুরস্কের
গাজার সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ২০০ ফিলিস্তিনির নিরাপদ প্রত্যাবাসনের চেষ্টা তুরস্কের

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিদেশ সফরে যাওয়ায় আমাকে প্লট দেওয়া হয়নি : রবি চৌধুরী
খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিদেশ সফরে যাওয়ায় আমাকে প্লট দেওয়া হয়নি : রবি চৌধুরী

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পুরান ঢাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে
পুরান ঢাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ পত্র পৌঁছে দিলেন টুকু
খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ পত্র পৌঁছে দিলেন টুকু

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সাবেক মেয়র আইভীকে শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে শ্যোন অ্যারেস্ট

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রাথমিক শিক্ষকদের সিদ্ধান্ত বদল, কর্মবিরতি চলবে
প্রাথমিক শিক্ষকদের সিদ্ধান্ত বদল, কর্মবিরতি চলবে

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দিল্লির লাল কেল্লার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, বহু হতাহতের আশঙ্কা
দিল্লির লাল কেল্লার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, বহু হতাহতের আশঙ্কা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাঠ পর্যায়ে এনআইডির বয়স সংশোধন কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
মাঠ পর্যায়ে এনআইডির বয়স সংশোধন কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের আশ্বাসে প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন প্রত্যাহার
১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের আশ্বাসে প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন প্রত্যাহার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিষিদ্ধ দল বিক্ষোভের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রেস সচিব
নিষিদ্ধ দল বিক্ষোভের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রেস সচিব

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে ভূগর্ভস্থ গোপন কারাগার, বন্দী ফিলিস্তিনিরা
ইসরায়েলে ভূগর্ভস্থ গোপন কারাগার, বন্দী ফিলিস্তিনিরা

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হ্যান্ডসেটের শুল্ক কমানো, বাজারে থাকা ফোন বৈধ করতে চায় বিটিআরসি
হ্যান্ডসেটের শুল্ক কমানো, বাজারে থাকা ফোন বৈধ করতে চায় বিটিআরসি

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আকুর বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলারে নামল
আকুর বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলারে নামল

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জিএমপির সাবেক কমিশনার নাজমুল করিম খান বরখাস্ত
জিএমপির সাবেক কমিশনার নাজমুল করিম খান বরখাস্ত

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্কুলে ভর্তি লটারিতে, আবেদন শুরু ২১ নভেম্বর
স্কুলে ভর্তি লটারিতে, আবেদন শুরু ২১ নভেম্বর

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দিল্লির লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণে নিহত ৮
দিল্লির লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণে নিহত ৮

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে দুর্বৃত্তদের এলোপাতাড়ি গুলিতে একজন নিহত
রাজধানীতে দুর্বৃত্তদের এলোপাতাড়ি গুলিতে একজন নিহত

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
বল এখন কার কোর্টে
বল এখন কার কোর্টে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ধুঁকছে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন
ধুঁকছে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন

পেছনের পৃষ্ঠা

আওয়ামী দোসরদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে
আওয়ামী দোসরদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে

নগর জীবন

হঠাৎ চোরাগোপ্তা হামলা
হঠাৎ চোরাগোপ্তা হামলা

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসি গিয়ে পেলেন পাহাড়ের ‘কঙ্কাল’
ডিসি গিয়ে পেলেন পাহাড়ের ‘কঙ্কাল’

নগর জীবন

এলেন, গুলি করলেন চলে গেলেন
এলেন, গুলি করলেন চলে গেলেন

প্রথম পৃষ্ঠা

হামজার যোগদানে প্রাণ ফিরবে অনুশীলনে
হামজার যোগদানে প্রাণ ফিরবে অনুশীলনে

মাঠে ময়দানে

অফিসে ব্যাগ-আইডি রেখে নিখোঁজ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা
অফিসে ব্যাগ-আইডি রেখে নিখোঁজ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা

পেছনের পৃষ্ঠা

প্লট ও ফ্ল্যাট জালিয়াতি
প্লট ও ফ্ল্যাট জালিয়াতি

প্রথম পৃষ্ঠা

‘প্রিন্স’ ছবিতে জ্যাকি শ্রফ?
‘প্রিন্স’ ছবিতে জ্যাকি শ্রফ?

শোবিজ

সম্পর্ক নিয়ে কোয়েল
সম্পর্ক নিয়ে কোয়েল

শোবিজ

সুচন্দার দুঃখ
সুচন্দার দুঃখ

শোবিজ

২২ মিনিটেই শেষ ১৮ হাজার টিকিট
২২ মিনিটেই শেষ ১৮ হাজার টিকিট

মাঠে ময়দানে

চীনের গ্রুপে বাংলাদেশ
চীনের গ্রুপে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

সিলেটে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড মুখোমুখি
সিলেটে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড মুখোমুখি

মাঠে ময়দানে

বিইউএফটি ন্যাশনাল কুইজ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন সরকারি বিজ্ঞান কলেজ
বিইউএফটি ন্যাশনাল কুইজ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন সরকারি বিজ্ঞান কলেজ

নগর জীবন

সারা দেশে চালু হচ্ছে ওপেন ব্যাংকিং
সারা দেশে চালু হচ্ছে ওপেন ব্যাংকিং

শিল্প বাণিজ্য

অংশ কখনো সমগ্র নয়
অংশ কখনো সমগ্র নয়

সম্পাদকীয়

৬১৫ আসন কমেছে মেডিকেল কলেজে
৬১৫ আসন কমেছে মেডিকেল কলেজে

পেছনের পৃষ্ঠা

শহরেই শামুকখোল পানকৌড়ির বসবাস
শহরেই শামুকখোল পানকৌড়ির বসবাস

পেছনের পৃষ্ঠা

ওয়াজ মাহফিল আয়োজকদের সমীপে কিছু কথা
ওয়াজ মাহফিল আয়োজকদের সমীপে কিছু কথা

সম্পাদকীয়

জাল নোটের দৌরাত্ম্য
জাল নোটের দৌরাত্ম্য

সম্পাদকীয়

ছেলের হাতে বাবা খুন
ছেলের হাতে বাবা খুন

দেশগ্রাম

২০ লাখ টাকার স্বর্ণসহ আটক
২০ লাখ টাকার স্বর্ণসহ আটক

দেশগ্রাম

ছেলের পাত্রী দেখে ফেরার পথে বাবা মাসহ নিহত ৩
ছেলের পাত্রী দেখে ফেরার পথে বাবা মাসহ নিহত ৩

দেশগ্রাম

চুরির অপবাদে দুই কিশোরকে রাতভর আটকে নির্যাতন
চুরির অপবাদে দুই কিশোরকে রাতভর আটকে নির্যাতন

দেশগ্রাম

ভয় শঙ্কায় নেই কনসার্ট
ভয় শঙ্কায় নেই কনসার্ট

শোবিজ

রাজশাহী নৌবন্দরে সম্ভাবনার হাতছানি
রাজশাহী নৌবন্দরে সম্ভাবনার হাতছানি

সম্পাদকীয়

জুলাই সনদ
জুলাই সনদ

সম্পাদকীয়