সোলস ব্যান্ডের ভোকালিস্ট ও সংগীত তারকা পার্থ বড়ুয়া। গান গাওয়ার পাশাপাশি তিনি নাটক, বিজ্ঞাপন, ওটিটি কিংবা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। সম্প্রতি বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর সঙ্গে বলা কথা তুলে ধরেছেন- পান্থ আফজাল
জুলাই আন্দোলন-পরবর্তী মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে মন্তব্য কী? নতুনরাই বা কেমন করছেন?
ভালো। কাজ হচ্ছে, হবে। আর নতুনরা তো ভালোই কাজ করছে। ম্যাচিউর হতে যতটুকু সময় লাগে ততটুকু তো দিতেই হবে। যখন তাদের অভিজ্ঞতা বেশি হয়ে যাবে তখন ওরা ভালো করবে।
এখন তো অনেকেই শিল্পী, সুরকার বা গীতিকারের ক্রেডিট দিতে চায় না...
একটা গানে সুরকার থাকবেন, গীতিকার থাকবেন। যারা গানটি তৈরি করেছেন, পারমিশন ছাড়া তাদের গান কেন করবেন? এটা তো কোনো যুক্তিতেই পড়ে না। কোনো কিছুতেই পড়ে না। একজনের গান আরেকজন গাইবে।
এখন নতুন ট্রেন্ড শুরু হয়েছে আগের জনপ্রিয় গানের দুই লাইন নিয়ে পুরো গান তৈরি হচ্ছে, এটা, কেমন বিষয়?
এই দায়ভার তো আমাদের না। আর আমিও মূল্যায়ন করতে পারব না। যে যা করছে তারা তো করবেই। কিন্তু বেসিক জিনিস যদি ঠিক না থাকে, তাহলে আলটিমেটলি গানগুলো দাঁড়াবে না। তাই তো হচ্ছে এখন।
নতুন গান কি আসবে?
নতুন গান তো করছি। অলরেডি ১৮টা গান তৈরি আছে আমাদের (সোলস)। এখন দেশের যে পরিবেশ-পরিস্থিতি, গান ছাড়ার মতো অবস্থায় নেই। একটু ঠিক হোক দেশ, তখন ছাড়ব।
রাজনৈতিক পরিচয়ে পরিচিত হওয়ার ইচ্ছে আছে কি আপনার?
কী দরকার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার! এটার তো প্রয়োজন নেই। রাজনৈতিকভাবে সচেতন তো সবাই হয়। সেটা কেবল শিল্পী কেন, যে কোনো প্রফেশনের লোকই হয়। কিন্তু আমি যখন শিল্পী তখন আমার মনে হয় না আমার রাজনৈতিক পরিচয় চাইতে যাওয়া উচিত। দরকার নেই এসবে।
আঞ্চলিক ভাষায় গান করে প্রশংসিত হয়েছেন। সামনে কোন সিনেমায় প্লে-ব্যাক করছেন?
আঞ্চলিক ভাষায় তো সিনেমা হতেই পারে, সেটা তো ‘মেড ইন চিটাগং’ দেখেই বুঝলেন। এটা অবশ্য চিটাগংয়ের মানুষের জন্য বানানো হয়েছিল। আর সিনেমার গান সময় হলে, সুযোগ হলে করব।
ব্যান্ড সংগীত নিয়ে কী উদ্যোগ রয়েছে?
আইপিডিসিতে আমরা শুধু ফোক গান নিয়েই কাজ করেছি। অনেক গান আছে, যেগুলোর ভালো রেকর্ডিং নেই। তাই আমাদের চেষ্টা ছিল ওগুলোকে প্রপারলি রেকর্ডিং করে আর্কাইভ করা। সেভাবেই কাজ করেছি। আর ব্যান্ড নিয়ে কাজ করতে গেলে তো স্পন্সর লাগে। অন্যদিকে আমাদের অর্গানাইজেশন আছে। সেদিক থেকে যদি সব মিলে যায়, আশা করছি ভবিষ্যতেও হবে। তবে এ মুহূর্তে কোনো প্ল্যান নেই।
শিল্পী হিসেবে মূল্যায়ন নিয়ে কোনো আক্ষেপ রয়েছে কি?
এখন মূল্যায়ন যদি কেউ না করে তাহলে কী করার আছে! আর আমি তো বেসিক্যালি মিউজিশিয়ান। মিউজিকই করি, আমার প্রফেশনও তাই। গান করি শখে। ব্যান্ডে গান করি, গায়ক হওয়ারও তো কখনো ইচ্ছে ছিল না।
আর কে কী মূল্যায়ন করল কী না করল, ও নিয়ে কী আসে যায়। আমার কাজ আমি ঠিকঠাক মতো করলেই হলো। সত্যি বলতে মূল্যায়ন নিয়ে আমি কখনো ভাবি না।