রুপালি পর্দায় একা যিনি প্রতিরোধ করতে পারেন যে কোনও দুষ্কর্ম। যার ধমকে চমকে কেঁপে ওঠে দেশ বিদেশের অন্ধকার জগতের রথী মহারথীরা, তিনি সামান্য ‘মুড’ সামলাতে ব্যর্থ হন। তার মুড এতটাই পরাক্রান্ত যে তার আক্রমণে বিয়ে পর্যন্ত ভেঙে দিতে বাধ্য হন ‘একাই একশো’ অভিনেতা। ‘দাবাং’ এর চুলবুল পাণ্ডে খ্যাত সালমান খানকে নিয়ে এমনটাই জানালেন বন্ধু প্রযোজক সাজিদ নাদিওয়ালা।
কাপিল শর্মার শো–তে সালমান খানের দীর্ঘদিনের বন্ধু সাজিদ নাদিওয়ালা জানিয়েছেন, ১৯৯৯ সালে সালমান খান একেবারে বিয়ের দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছিলেন। পাত্রী ছিলেন সালমানের সেই সময়ের বান্ধবী। ব্যাপারটা এতদূর এগিয়েছিল যে বিয়ের আমন্ত্রণপত্র পর্যন্ত বিলি হয়ে গিয়েছিল নিমন্ত্রিতদের মধ্যে। কিন্তু বিয়ের ঠিক পাঁচ বা ছ’দিন আগে বলিউড তারকা জানিয়ে দেন তার বিয়ে করার মুড নেই। সেই একই দিনটি ছিল সাজিদ নাদিওয়ালারও বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার দিন। দুই বন্ধু আলোচনা করেই এক দিনে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। নিজের বিয়ে বাতিল করে সালমান বিয়ের দিন এসে সাজিদকে একান্তে ডেকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তিনিও বিয়ে ভেঙে দিতে চান কিনা? পালিয়ে যাওয়ার সব বন্দোবস্ত, গাড়িও প্রস্তুত করেন সালমান। বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বন্ধুকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাবটি অবশ্যই রসিকতা ছিল বলে জানিয়েছেন সালমানের ‘কিক’ চলচ্চিত্রের পরিচালক সাজিদ।
পাত্রীর নাম সাজিদ উচ্চারণ না করলেও কয়েক দিন আগে ‘কফি উইথ করন’ অনুষ্ঠানে সালমান নিজেই জানিয়েছিলেন একবার বিয়ে করতে যাওয়ার মাত্র কয়েকদিন আগে তিনি জানতে পারেন যে সেই মেয়ে ‘বিশ্বস্ত’ নয়। সেই কারণে তিনি বিয়ে ভেঙে দিয়েছিলেন। অন্য এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানিয়েছিলেন, একবার অভিনেত্রী সঙ্গীতা বিজলানিকে বিয়ে করার খুব কাছাকাছি তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন। যদিও করন জোহর–এর শো’তে সালমান জানিয়েছেন যে তিনি এই মুহূর্তে কোনও সম্পর্কে জড়াতে ইচ্ছুক নন।
অতীতে একাধিক অভিনেত্রীর সঙ্গে সালমান খানের নাম জড়িয়ে বলিউডি গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে ঐশ্বরিয়া রাই, ক্যাটরিনা কাইফ যেমন রয়েছেন তেমনই নাম শোনা গেছে এক সঙ্গীতশিল্পীরও নাম। ফলে বলিউডের অন্যতম সফল এই জনপ্রিয় অভিনেতার ব্যক্তিজীবন সবসময়ই আলোচনার কেন্দ্রে রয়ে গেছে। সূত্র : দ্য ওয়াল।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক