শনিবার, ১১ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

দায় এড়াতে পারে না স্বাস্থ্য অধিদফতর

ড. সাদেকা হালিম

দায় এড়াতে পারে না স্বাস্থ্য অধিদফতর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং সাবেক তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেছেন, মানুষ অসুস্থ হলে সেবা পেতে হাসপাতালে যায়। হাসপাতালের লাইসেন্স মেয়াদোত্তীর্ণ কি না সেটা দেখার দায়িত্ব রোগীর নয়, স্বাস্থ্য অধিদফতরের। স্বাস্থ্য অধিদফতর দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। চিকিৎসা নিয়ে প্রতারণার দায় তারা এড়াতে পারে না। গতকাল তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, রিজেন্ট হাসপাতালে বিনামূল্যে করোনা টেস্ট করানোর কথা ছিল। এজন্য বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার। অথচ তারা মানুষের কাছে থেকে টাকা নিয়ে ভুয়া রিপোর্ট ধরিয়ে দিয়েছে। আবার সরকারের কাছে থেকে টেস্ট বাবদ বরাদ্দও বুঝে নিয়েছে। এই মহামারীর সময়ে তাদের ভুয়া করোনা সার্টিফিকেটে সংক্রমণ ছাড়ানোর আশঙ্কা প্রবল। শুধু রিজেন্ট নয়, ইতালি ফেরত ব্যক্তিদের ভুয়া সার্টিফিকেট কারা দিয়েছে তাদেরও খুঁজে বের করতে হবে। ড. সাদেকা হালিম বলেন, রাজনীতিতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা না থাকায় অনেকেই ফুলেফেঁপে উঠছে। রাজনৈতিক দলকে ব্যবহার করে বিত্ত-বৈভবের মালিক হচ্ছে সাহেদদের মতো অনেকে। সাহেদ বৃহত্তম একটি রাজনৈতিক দলের আন্তর্জাতিক উপ-কমিটির সদস্য। দলকে ব্যবহার করে তারা নিজেদের আখের গোছাচ্ছে। এসব প্রতারকরা স্বাস্থ্য খাত নিয়ে ব্যবসা করছে। এখানে অবশ্যই স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের যোগসাজশ আছে। মেয়াদোত্তীর্ণ হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসার জন্য চুক্তিবদ্ধ করার দায় তিনি এড়াবেন কী করে। এর আগে এন৯৫ মাস্কের নামে মানহীন মাস্ক প্রদান, মানহীন সুরক্ষা সামগ্রী, জেকেজি নামের ভুয়া প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির ঘটনা তো রয়েছেই।

সর্বশেষ খবর